Banner

কিডনি রোগ কেন হয়? | Kidney রোগের লক্ষণ

 

কিডনি মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ 

কিডনি রোগ কেন হয়ঃ কিডনি মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। পৃথিবীতে মানবজাতি যেসব প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে তার মধ্যে কিডনি রোগ অন্যতম। এই কিডনি রোগ খুব নীরবে শরীরের ক্ষতি করে। খুব জটিল অবস্থা না হওয়া পর্যন্ত সাধারণত লক্ষণগুলো ভালোভাবে প্রকাশও পায় না। তাই কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো আগে থেকেই জেনে রাখা জরুরি তবেই এর থেকে মুক্তি উপায় বার করা সম্ভবপর হবে। সেই সঙ্গে জানা দরকার এর সঠিক চিকিৎসা কি হবে।

কিডনি রোগ  কেন হয়? | Kidney রোগের লক্ষণ
কিডনি রোগ  কেন হয়? | Kidney রোগের লক্ষণ


আরো পড়ুন ঃ সুগারের লক্ষণ

কিডনি বিকল কি শুধু শুধু হয়?

না। কখনওই শুধু শুধু কিডনি বিকল হবে না। অনেকগুলো রোগের শেষ পরিনতি এটি। সেই রোগগুলো প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করা সম্ভব। যেমন ধরুন- প্রস্রাব যদি কখনও কমে যায়। অথবা কারও দেখা যাচ্ছে রাতে প্রস্রাব হতো না এখন হচ্ছে। প্রস্রাব করার সময় জালাপোড়া হয়। প্রস্রাব করার পরেও কিছু প্রস্রাব থেকে যায়। এর সঙ্গে কোমড়ের দুই পাশে ব্যথা এবং কাপুনি থাকে। আবার দেখা যাচ্ছে প্রস্রাবে প্রচুর ফেনা থাকে। মুখ ফুলে যায় তবে মনে করতে হবে কিডনির প্রদাহ বোঝায়।

555 555

আবার দেখা যায় যে প্রস্রাব লাল হচ্ছে অর্থাৎ প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাচ্ছে। তবে এই রক্ত যাওয়া অনেক কারণে হতে পারে যেমন কিডনিতে পাথর থাকলে। টিউমার থাকলে হতে পারে। অনেক কারণেই প্রস্রাবে রক্ত যেতে পারে। অনেক সময় ভিটামিন খেলেও প্রস্রাব হলুদ হতে পারে। আবার পানি কম খেলেও হলুদ হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠলেও প্রস্রাব হলুদ হয়। এটা আসলে কোন রোগ না।

কিডনির নানান ধরনের রোগের লক্ষণ আলাদা আলাদা হয় , যার মধ্যে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি প্রধানত দেখা যায়:
কিডনি রোগ  কেন হয়? | Kidney রোগের লক্ষণ
কিডনি রোগ  কেন হয়? | Kidney  রোগের লক্ষণ

  • সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে চোখ ফুলে যাওয়া।
  • মখ এবং পা ফুলে যাওয়া।
  • ক্ষুধামান্দ্য , বমি ভাব , দুর্বল ভাব।
  • বার বার প্রস্রাবের বেগ , বিশেষ করে রাত্রে।
  • কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ
  • শারীরিক দুর্বল ভাব , রক্ত ফ্যাকাসে হওয়া।
  • অল্প হাঁটার পরে, নিশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া বা তাড়াতাড়ি ক্লাস্তি অনুভব করা।
  • ৬ বছর বয়সের পরেও রাত্রে বিছানায় প্রস্রাব করা।
  • প্রস্রাব কম আসা ।
  • প্রস্রাব করার সময় জুলন অনুভব করা এবং প্রস্রাবে রক্ত বা পুজ-এর উপস্থিতি।
  • প্রস্রাব করার সময় কষ্ট হওয়া। ফোটা ফোটা করে প্রস্রাব হওয়া।
  • পেটের মধ্যে গিট হওয়া , পা আর কোমরের যন্ত্রণা।

উপরোক্ত লক্ষণগুলির মধ্যে কোনও একটি লক্ষণের উপস্থিতি থাকলে কিডনির রোগের সম্ভাবনা থাকতে পারে , এবং তৎক্ষণাৎ ডাক্তারবাবুর কাছে গিয়ে চেক-আপ করানো দরকার।

যদি উপরোক্ত উপসর্গ গুলো দেখা যায় তাহলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে সিমপল ইউরিন টেস্ট (ACR) এবং ব্লাড টেস্ট (eGFR) করিয়ে আপনার কিডনির কোন সমস্যা আছে কিনা নিশ্চিত হোন।

আসুন তাহলে আমরা সংক্ষেপে জেনে নেই কিভাবে আমরা ভয়াবহ কিডনী বিকল থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি এবং আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনীকে সুস্থ রাখতে পারি।

এই আটটি পদ্ধতি হল-

১. কায়িক পরিশ্রম ও নিয়মিত ব্যায়াম করা

২. উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা

৩. সুপ্ত উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা

৪. স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

৫. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা

৬. ধূমপান থেকে বিরত থাকা

৭. ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ সেবন না করা এবং

৮. নিয়মিত কিডনীর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা


সমসাময়িক সময়ে কিডনি রোগ থেকে মুক্তির উপায় স্বরূপ যে ৮টি স্বর্ণালি সোপানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে খানিকটা আলোকপাত করি ।

কিডনি রোগ  কেন হয়? | Kidney রোগের লক্ষণ
কিডনি রোগ  কেন হয়? | Kidney রোগের লক্ষণ



কায়িক পরিশ্রম ও নিয়মিত ব্যায়াম করা

কায়িক পরিশ্রম ও নিয়মিত ব্যায়াম কিডনী রোগ প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি ডায়াবেটিক ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনে, কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং রক্তনালী সচল রাখে। সমীক্ষায় দেখা গেছে শুধু নিয়মিত হাঁটার কারণে গড় আয়ু ১৩ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা

উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস কিডনী বিকলের প্রধান কারণ হিসাবে চিহ্নিত। এ দুটি রোগ শুধু কিডনী বিকলই করে না হৃদরোগ, ব্রেইন স্ট্রোক, অন্ধত্ববরণসহ অসংখ্য রোগের জন্ম দেয়। কাজেই এদের হাত থেকে বাঁচতে হলে রক্ত চাপ এমন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে যেন তা ১৩০/৮০ নিচে থাকে। এবংব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে যাতে হিমগ্লোবিন HbA1C লেভেল ৭ এর নিচে থাকে।

সুপ্ত উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা

বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে আমাদের দেশের প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ ভাগ লোকেরই উচ্চ রক্তচাপ আছে। কিন্তু শতকরা ৫০ভাগ এর অধিক লোকই জানেন না যে তাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে। কারণ এর কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তাই সুপ্ত রক্তচাপ নির্ণয়ের জন্য বছরে ৩/৪ বার রক্তচাপ মাপিয়ে নেয়া উচিত।

স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা

পরিমিত সুষম খাবার সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য। মনে রাখতে হবে যে, অতি ভোজন ও অতি ওজন স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর। খাবারের সাথে আলগা লবণ পরিহার করতে হবে। অতি মসলাযুক্ত, বেশি ভাজা পোড়া খাবার, অতিরিক্ত ঝাল এবং প্রাণিজ তেল যেমন গরু খাসির চর্বি, ঘি, মাখন নিয়ন্ত্রণ করে খেতে হবে। শুধু পরিমাণে বেশি ও দামি খাবার খেলেই সুখাদ্য হয় না। খাবারের মধ্যে ৫টি উপাদান আছে কি না তা সবসময়ই খেয়াল রাখতে হবে। যেমন শর্করা জাতীয়- ভাত, রুটি, পিঠা। আমিষ জাতীয়- মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল। স্নেহ জাতীয়- সয়াবিন, সরিষার তেল, সানফ্লাওয়ার।

পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা

জলের অপর নাম জীবন। কিডনী সচল রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা উচিত। একজন বয়স্ক লোকের প্রতিদিন দেড় থেকে তিন লিটার জল পান করা উচিত। তবে যাদের কিডনীতে পাথর আছে যাদের প্রশ্রাবে ঘন ঘন ইনফেকশন হয়, যারা রোদে এবং কলকারখানায় কাজ করে তাদের জল আরও বেশি পরিমাণ খেতে হবে, যাতে প্রশ্র্রাবের রং জলের মত থাকে অথবা এক থেকে দেড় লিটার প্রশ্রাব হয়। তবে যাদের শরীরের অতিরিক্ত জল জমা আছে তাদের ডাক্তারের নির্দেশ মতো জল পান করতে হবে।

ধূমপান থেকে বিরত থাকা

একটি জনপ্রিয় প্রবাদ বাক্য হচ্ছে - 'ধূমপানে বিষপান'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপে দেখা গেছে, প্রতি বছর শুধু ধূমপানের জন্য সারা বিশ্বে মৃত্যু হয় ৬৬ লক্ষ মানুষের। ধূমপানের ফলে কিডনী বিকল হয়, কিডনীতে ক্যান্সার হয় , কিডনী ও মূত্রণালিতে ক্যান্সার সৃষ্টি হয়। এছাড়া ধূমপান ফুসফুসের ক্যান্সার, মুখ ও খাদ্যনালির ক্যান্সার, হৃদরোগ, ষ্ট্রোকসহ অসংখ্য মরণব্যধির কারণ। কাজেই এসব রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে ধূমপান পরিহার করতে হবে।

ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ সেবন না করা

দীর্ঘমেয়াদী বিভিন্ন ব্যথা-বেদনার ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে কিডনী বিকল হয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায় যে, ১০ থেকে ১৫ ভাগ কিডনী বিকল হয় ঔষধ খাওয়ার কারণে। এছাড়াও এন্টিবায়োটিকসহ অনেক ঔষধ কিডনীর মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এই ক্ষতির মাত্রা ঔষুধের মাত্রা ও কতোদিন খাচ্ছে তার ওপর অনেক সময় নির্ভর করে। আবার অনেক সময় এলার্জির কারণে স্বল্প মাত্রার ঔষধেও কিডনী বিকলের কারণ হয়ে দাঁড়ায় কাজেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ঔষধ সেবন করা উচিত নয়।

নিয়মিত কিডনীর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা

কিডনী রোগ কে বলা হয় নীরব ঘাতক। কারণ ৭০ থেকে ৮০ভাগ কিডনী নষ্ট হওয়ার আগে অনেকসময় কোনো উপসর্গ দেখা যায় না। অথচ সামান্য রক্ত ও প্রশ্রাব পরীক্ষা করেই এ রোগ সুপ্ত অবস্থায় দেহে আছে কিনা তা নির্ণয় করা যায়। কাজেই যাদের মধ্যে কিডনী রোগের ঝুঁকি বেশি- যেমন যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আছে, যাদের মুখ ও শরীর ফুলে গেছে, যাদের কিডনীতে পাথর আছে, যাদের প্রশ্রাবে বাঁধা জনিত রোগ আছে, প্রশ্রাবে যাদের ইনফেকশনের ইতিহাস আছে, যাদের বংশে কিডনী রোগের ইতিহাস আছে, যাদের বয়স ৪০ এর উপরে তাদের বছরে দুই বার কিডনী পরীক্ষা করিয়ে নেয়া উচিত।

তাহলে কিডনি ভাল রাখার উপায় কী? হাতের কাছেই রয়েছে চটজলদি সমাধান।

পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিতে হবে একআঁটি ধনেপাতা।
কুচি কুচি করে কেটে পাত্রে রাখতে হবে ধনেপাতা।
পাত্রে কিছুটা পরিষ্কার জল নিয়ে ১০ মিনিট ফোটাতে হবে।
ঠান্ডা হলে ছেঁকে পরিষ্কার বোতলে রাখতে হবে।
ফ্রিজে রেখে দেওয়া যেতে পারে ওই বোতল। 

প্রতিদিন একগ্লাস করে ধনেপাতার জুস খেলেই হাতেনাতে মিলবে ফল। কিডনির মধ্যে জমে থাকা নুন এবং বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে। শুধু কিডনিই নয়। ধনেপাতা মহৌষধ। একআঁটি ধনেপাতায় রয়েছে ১১% ফাইবার, ৪% প্রোটিন, ১% ক্যালরি, ১% কার্বোহাইড্রেট, ১% ফ্যাট। ম্যাঙ্গানিজ ২১%, পটাসিয়াম ১৫%, কপার ১১%, আয়রন ১০%, ক্যালসিয়াম ৭%। এতে রয়েছে ৩৮৮% ভিটামিন k, ১৩৫% ভিটামিন A, ৪৫% ভিটামিন C, ১৬% ফলেট।

ধনেপাতায় হাজার গুণ। এগজিমা সারায়, বমিভাব কমায়, পেটের গন্ডগোল কমায়, আলসার সারায়, সতেজ হয় শ্বাস-প্রশ্বাস, হজমে সাহায্য করে, ব্লাড প্রেশার কমায়, অ্যানিমিয়া কমায়, ডায়াবেটিসে প্রচুর উপকার মেলে। হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। কনজাংটিভাইটিস থেকে চোখকে রক্ষা করে ধনেপাতা। স্মল পক্স প্রতিরোধ করে.

আরও পড়ুনঃ অ্যাকুপ্রেসার কি

যেসব খাবার কিডনি সুরক্ষা করে ও রোগ মুক্ত রাখে ! 

সুষম খাদ্য আমাদের শরীরের জন্য অনেক প্রয়োজন। পুষ্টি বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়তই নিত্যনতুন খাদ্যের বিভিন্ন দিক উন্মোচন করে চলেছেন। কিডনি সুরক্ষায় এমন কিছু খাবার  আছে যা স্বাস্থের জন্য উপকারী। বিশেষ এই খাদ্যগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট।

এগুলো হলো:

লাল আঙুর

এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্লাভনয়েড, যা আপনার কিডনিকে রাখবে সদা তরুণ। এটি রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

 আপেল

বলা হয়ে থাকে প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ডাক্তার থেকে দূরে থাকা যায়। নিয়মিত আপেল খাওয়ার অভ্যাস করলে তা কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে, হৃদরোগ এবং ক্যানসার প্রতিরোধেও এর ভূমিকা অনন্য।

মাছ

মাছকে বলা হয়ে থাকে নিরাপদ প্রোটিনের উৎস। দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মাংসের চেয়ে মাছের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি মাছে রয়েছে ওমেগা৩ যা কিডনি, হার্ট এবং লিভারের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধী। এছাড়াও কোলেস্টেরল কমাতে এর ভূমিকা তো রয়েছেই। 

ডিমের সাদা অংশ

আমরা অনেকেই স্বাস্থ্যে কথা চিন্তা করে ডিমকে খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দেই। কিন্তু আপনি কি জানেন ডিমের সাদা অংশই হচ্ছে বিশুদ্ধ প্রোটিন, যা আপনার কিডনির জন্য খুবই প্রয়োজন।

ক্যাপসিকাম

আপনার কিডনি সুস্থ রাখতে ক্যাপসিকাম হতে পারে প্রথম পছন্দ। সালাদ এবং যে কোনো রান্নাকে সুস্বাদু করতে এর জুড়ি নেই। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বি৬, ফলিক এসিড এবং ফাইবার। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এন্টিঅক্সিডেন্ট লাইকোপিনের প্রধান উপাদান, যা কিনা ক্যান্সার প্রতিরোধেও সহায়ক।

রসুন
রসুনের গুণের কথা আমাদের সবারই জানা। এটি কিডনি প্রদাহ উপশম করার পাশাপাশি রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায়। কিডনি রোগীদের জন্য এর কোনো বিকল্প নেই।

পেঁয়াজ
পেঁয়াজের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ফ্লাভনয়েড, যা রক্তনালীতে চর্বি জমা প্রতিহত করে। এর এন্টিঅক্সিডেন্ট কিডনি জনিত উচ্চরক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ক্যান্সার প্রতিরোধেও এর ভমিকা রয়েছে।

বাধাকপি
বাধাকপিকে এন্টিঅক্সিডেন্টের খনি বললেও ভুল হবে না। এরা শরীরের ক্ষতিকারক ফ্রি রেডিকেলের বিরুদ্ধে কাজ করে আপনার কিডনিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি ক্যান্সার এবং হৃদরোগ প্রতিরোধেও কাজ করে। এতে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি৬, ফলিক এসিড, প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ বাধাকপি রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়।

ফুলকপি
বাধাকপির মতো ফুলকপিও পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। ফুলকপির একটি বিশেষগুণ হলো এটি শরীর থেকে বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান দূর করতে সহায়তা করে।

স্বাস্থ্য একটি অমূল্য সম্পদ এই সম্পদ সংরক্ষণের জন্যে উপরে উল্লিখিত পরামর্শ সমূহ যদি জীবনের শুরু থেকেই মেনে চলা যায় তাহলে শুধু কিডনী নয় সকল অসংক্রামক ব্যাধি থেকেই নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব। কাজেই আসুন সকলেই নিয়মগুলো মেনে চলার চেষ্টা করি। এতে অর্থ ব্যয় হবে সামান্যই। তবে যে উপকার পাওয়া যাবে তা অমূল্য।


FAQ:

প্রঃ কিডনির ইংরেজী নাম কি?

উঃ কিডনী ইংরেজী শব্দ, একে বাংলায় বৃক্ক বলে। যা মানব দেহের রেচনতন্ত্রের প্রথম ও প্রধান অংশ।

প্রঃ কিডনি পরিষ্কার করে এমন খাবার কি কি?

উঃ লাল আঙুর, আপেল, মাছ, ডিমের সাদা অংশ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাল ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ-রসুন।

প্রঃ কিডনি ভালো রাখে এমন মশলা বা খাদ্য উপকরণ ?

উঃ ত্রিফলা, আদা, ধনেপাতা বা ধনে এবং হলুদ। 

প্রঃ কিডনি পরীক্ষা

উঃ রক্তে ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা পরীক্ষার মাধ্যমে জানা সম্ভব কিডনি দেহে কতখানি কার্যক্ষম।

প্রঃ কিডনির পাথর গলায় কোন খাবার 

উঃ কিডনীর পাথর গলাতে সক্ষম যেকোনো সাইট্রিক অ্যাসিড যুক্ত ফল যেমন  - 

    পাতিলেবু, কমলালেবু, লাল আঙুর, আপেল, ব্লুবেরী প্রভৃতি, এগুলি কিডনির পাথর তৈরির ক্ষেত্রে             ক্যালসিয়াম অক্স্যালেট গঠনে বাধা দেয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ