অর্থ সঞ্চয় কোন বয়স থেকে শুরু করবেন ?
অর্থ সঞ্চয় শুরু করার নির্দিষ্ট কোন বয়স বা সময় নেই তাই ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে আজ থেকেই একটু একটু করে শুরু করুন সঞ্চয়। প্রথম চাকরি তেমন ফলপ্রসু না হলেও যত কম মাইনের-ই হোক না কেন, সেখান থেকেই অর্থ সঞ্চয় করার চেষ্টা করুন। এই সঞ্চয়-এর কিছু সহজ কৌশল নিয়েই আলোচনা করব।
![]() |
অর্থ সঞ্চয়:২০টি সহজ উপায়।Money Saving Tricks |
যে সব প্রকল্পে নিয়মিত লগ্নি করা যায় তাদের মধ্যে রয়েছে:-
ü
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড
বা (পিপিএফ)
ü
ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম (এনপিএস)
ü
ব্যাঙ্ক ও পোস্ট অফিসে
রেকারিং ডিপোজিট
ü সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (এসআইপি )র বা লাম্পসাম পেমেন্টের মাধ্যমে, মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নি
ü
শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগের
![]() |
অর্থ সঞ্চয়:২০টি সহজ উপায়।Money Saving Tricks |
সঞ্চয় -এর ২০টি সহজ উপায়:-
১. নির্দিষ্ট প্ল্যান করুন মাসের শুরুতে
২. হিসাব লিখে রাখুন
৩. একসাথে কেনাকাটা করুন
৪. রোজ চা-কফি নয়
৫. রোজ বাইরের খাবার নয়
৬. ব্যাঙ্ক কার্ড পরিমিত ব্যবহার করুন
৭. ঝোঁক কমান
৮. ভ্রমণে খরচ কমানোর চেষ্টা করুন
৯. খুচরো টাকায় মন দিন
১০. যানবাহনে নজর দিন
চেষ্টা করুন সাধারণ পাবলিক ট্রান্সপোর্টে
যাওয়া-আসা করার। কথায় কথায় ওলা, উবের বা ট্যাক্সি
নেওয়া বন্ধ করুন। নিজস্ব গাড়ি নিয়ে বেরোলে জ্যাম থাকলে গাড়ির স্টার্ট বন্ধ রাখুন।
দেখবেন তেলের পিছনে কি সুন্দর খরচ কমছে।
১১.
বিলাসিতা একটু ভেবে করুন
১২. আয়
বাড়ানোর দিকে নজর দিন
১৩. জিনিস বিক্রি করুন
না না, শুনে চমকে
যাবেন না। আমি বলতে চাইছি যে জিনিসটি আপনি ব্যবহার করছেন না বর্তমানে, সেটা যদি ভালো অবস্থায় থাকে, তাহলে তা বিক্রি করে
দিন বর্তমান বাজার মূল্য হিসাবে। দেখুন শুধু শুধু পড়ে থাকার থেকে তার বদলে যদি
টাকা আসে সেটা তো ভালোই বলুন!
১৪. নিত্যনতুন টাকা জমানোর কি কি
প্রকল্প সরকার শুরু করছেন সে দিকে নজর রাখুন।
১৫. শপিং-এ গিফট কার্ড ব্যবহার
অনেকসময় নানান মল থেকে আপনাকে হয়তো কিছু
কার্ড দেওয়া হয়। সেই কার্ড ব্যবহার করেই আপনি হয়তো অনেক কমে মানে ডিসকাউন্টে জিনিস
কিনতে পারবেন। অথচ অনেকেই সেই কার্ড ব্যবহারই করেন না। তাই এই ধরণের কার্ড পেলে তা
ব্যবহার করুন আর টাকা বাঁচান।
১৬. আপনার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করুন
আপনি যেখানে কাজ করেন সেখানকার কতৃপক্ষের
সঙ্গে কথা বলুন। কর্মচারীর জন্য কি ধরণের পলিসি টাকা রেখেছেন, প্রভিডেন্ট ফান্ডের কি সিস্টেম সব জানুন। এইভাবেই আপনি বিচক্ষণতার সঙ্গে আপনার
টাকা জমাতে পারবেন।
১৭. মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করুন
![]() |
অর্থ সঞ্চয়:২০টি সহজ উপায়।Money Saving Tricks |
১৮. ইনস্যুরেন্স করুন
জীবনবিমা বা এই ধরণের ইনস্যুরেন্স কিন্তু
অনেকটাই আপনাকে বিপদে সাহায্য করবে। আর ইনস্যুরেন্স করতে হলে অনেক রকমের স্কিমের
মধ্যে আগে একটা তুলনা করে নিন। দেখুন কোনটা বেশী লাভজনক। তারপর স্কিম করুন।
১৯. ভুলে যাওয়া অর্থ
অনেকেই বিভিন্ন
অ্যাকাউন্ট খোলার পর সে বিষয়ে আর খোঁজখবর নেন না। এসব পুরনো অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ
সংগ্রহ করে তারপর তা বন্ধ করুন।
২০. নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন
টাকা জমানোর জন্য এইটা সবচেয়ে দরকারী। নিজের
ইচ্ছেগুলোকে লাগাম দিন। নিজেকে বুঝুন। নিজের এক্তিয়ার বুঝুন। তারপর খরচ করুন।
দেখবেন আপনি দিনের শেষে কিন্তু হাসি মুখেই থাকবেন।
তাহলে বন্ধুরা, আজ আপনারা জেনে গেলেন কীভাবে আপনি সহজেই টাকা জমাতে পারবেন। শুধু একটু প্ল্যান, ব্যাস, আপনার সঞ্চয় করা থেকে আপনাকে আটকায় কে!
আরও পড়ুনঃ ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট
সঞ্চয়ের অভ্যাস তখন চারা গাছের মতো। তাকে রোদ, জল, হাওয়ায় রেখে ডালপালা মেলতে দিতে হয়। এ জন্য—
(৫-১৭ বৎসর বয়সীদের জন্য)
• খুলে দিন সেভিংস অ্যাকাউন্ট।
• উৎসাহ দিতে হবে জন্মদিন, নববর্ষে পাওয়া
টাকা জমানোয়।
• টাকা বাঁচিয়ে ছোটখাটো তহবিল গড়ে তোলার মজাটাও
শিখিয়ে দেওয়া যায়। সেই টাকায় যখন মা, বাবা,
দাদু, দিদাদের
জন্মদিনে ছোট ছোট উপহার দোকানে গিয়ে নিজে পছন্দ করে কিনবে, তখন উৎসাহ বাড়বে
আরও বহু গুণ।
• বাচ্চাদের ডেবিট কার্ড ব্যবহারের দরকার পড়ে
না। তবে হিসেব কষে খরচের পথ দেখাতে সেটা শিখিয়ে রাখাই যায়। এখন অনেক ব্যাঙ্কে
ছোটদের অ্যাকাউন্টে কার্ড ব্যবহারের সুবিধাও মেলে।
• অনেকেই ছোটদের হাতে টাকা-পয়সা দেওয়া পছন্দ করেন
না। যদিও অপচয় ও সঞ্চয়ের মধ্যে ফারাক চেনার ভিতটা এই বয়সেই তৈরি হয়ে গেলে পরে কাজে
লাগে। সেটা ছোট একটা পিগি ব্যাঙ্কে খুচরো ফেলা দিয়েও শুরু হতে পারে।
(১৮ বৎসর হলেই)
লগ্নির কৌশল:
Power of Compounding (পাওয়ার অফ কম্পাউন্ডিং) জোরে এই অল্প বয়স থেকে স্বপ্ল স্বপ্ল করে সঞ্চিত অর্থেই আপনি হয়ে উঠতে পারেন এক বিশাল অঙ্কের টাকার মালিক অর্থাৎ মাত্র ২০ বছর বয়স থেকে প্রতিমাসে টাকা জমানো শুরু করতে পারলে ৪০ বছর বয়সে গিয়ে আপনি নিজেকে অনেকটাই অর্থনৈতিক দিক থেকে চাপমুক্ত মনে করতে পারবেন।
![]() |
অর্থ সঞ্চয়:২০টি সহজ উপায়।Money Saving Tricks |
পাওয়ার অফ কম্পাউন্ডিং
যৌগিক শক্তি যৌগিক সুদ প্রায়শই এর অন্যতম শক্তিশালী সরঞ্জাম হিসাবে অভিহিত হয় বিনিয়োগকারীদের। চক্রবৃদ্ধির শক্তি প্রায়শই যখন বহুগুণ অর্থের বিষয় আসে তখনই কথা হয়। সহজ কথায়, এর অর্থ সুদের উপর সুদ অর্জন করা।
নিচের প্রদত্ত লিঙ্কটি থেকে আপনি H.D.F.C. ব্যাঙ্কের সাইটে পৌছে যাবেন, যেখানে আপনার টাকা ইনভেস্ট ও রিটার্ন সম্পর্কে একটি প্রচ্ছন্ন ধারণা জন্মাবে।
https://www.hdfclife.com/financial-tools-calculators/compound-interest-calculato
সঠিক সময় থেকে সঠিক স্থানে বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনার ও আপনার পরিবারের ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করুণ।
![]() |
অর্থ সঞ্চয়:২০টি সহজ উপায়।Money Saving Tricks |
2 মন্তব্যসমূহ
Beneficial Post
উত্তরমুছুনUseful Data
উত্তরমুছুন