নীরব ঘাতক সুগার – ডায়বেটিস্
![]() |
ব্লাড সুগার কি কারণে হয়। Diabetes রোগীর খাদ্য তালিকা |
অধুনা ডায়াবিটিসের চিকিৎসা আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক হয়েছে। বহু ওষুধও তৈরী হয়েছে। এমনকী বিজ্ঞান এগিয়ে যাওয়ায় আমরা বুঝতে পেরেছি যে, এই সমস্যা কোথায় আটকানোও যায়। কিন্তু মুশকিল হল, এরপরও অনেকেই বুঝতে পারেন না যে কী ভাবে এই অসুখ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই সতর্ক থাকার চেষ্টা আপনাকে করতেই হবে। তবেই সমস্যার সমাধান করা যাবে।
সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে শরীরে সুগার বেড়ে যাওয়ার প্রধান লক্ষণগুলি আগে চেনা প্রয়োজন। এই লক্ষণগুলি চিনতে পারলেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগেভাগেই সতর্ক হওয়া সম্ভব।
আসুন জেনে নেওয়া যাক সুগার এর বিশেষ কিছু লক্ষণ –
২) ঘুম আমাদের প্রতিটি মানুষের ঠিকমতো হওয়া চাই। আপনি পর্যাপ্ত সময় না ঘুমাতে পারলে শরীরে নানা জটিলতা তৈরি হতে পারে। এবার দেখা গিয়েছে যে কম ঘুম দেহের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তার থেকে জটিলতা তৈরি হয়। এবার সিডিসি জানাচ্ছে যে রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে দেহে ইনসুলিন নিজের কাজ করতে পারে না। এর থেকে রক্তে শর্করা বাড়তে থাকে। এমনকী ইনসুলিন রেজিস্টেন্স তৈরি হয়। যেই কারণে বাড়ে সুগার হু হু করে।
৩) ডায়েট বা ব্যায়াম না করেই হুট করে অনেক বেশি ওজন কমতে থাকা শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
৪) প্রতিটি মানুষকে ভালো পরিমাণে জলপান করতেই হবে। জলপান না করলে শরীরে বহু সমস্যা দেখা যায়। এমনকি সুগার বেড়ে যাওয়া। এছাড়াও বেশি পরিমাণে আর্টিফিশিয়াল সুইটনার ব্যবহার, মাড়ির রোগ ইত্যাদি ব্লাড সুগার বাড়ার কারণ হতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে।
৫) যখন শরীরে সুগার অতিরিক্ত বেড়ে যায় তখন তা বাইরে বের করে দেওয়ার জন্য কিডনিতে চাপ পড়ে, তখনই ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। এই সময় কিডনি শরীরের কোষ থেকে ফ্লুইড নিতে থাকে। এর ফলে শরীরে জলের ঘাটতি হতে থাকে, তাই ঘন ঘন জল তেষ্টা পায়।
৬) দুশ্চিন্তা হলে মাথায় অনেক খারাপ হরমোন বের হয়। এই হরমোন সরাসরি কাজ করে শরীরের উপর। তখন খুব সহজেই রক্তে সুগার বেড়ে যায়। তাই এই বিষয় নিয়ে সতর্ক হতেই হবে।
৭) শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে তার কুপ্রভাব পড়ে আমাদের দৃষ্টিশক্তির উপরেও। এর ফলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হয়।
৮) সুগার দীর্ঘদিন অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলে স্নায়ু জনিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে হতে পারে ডায়াবিটিস নিউরোপ্যাথি। এই অসুখের ক্ষেত্রে অবশ হয়ে যায় শরীরের কিছু কিছু অংশ। সেই জায়গাটায় ব্যথার অনুভূতিও থাকে না। দেখা গিয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে মানুষের ক্র্যাম্প লাগতে পারে। এমনকী জায়গাটায় খুব ব্যথা হয়। তাই সচেতন থাকা সবার আগে জরুরি।
৯) শরীরের যে কোনও অংশে কেটে বা ছড়ে গেলে তা না শুকানো বা শুকাতে অনেক বেশি সময় লাগার বিষয়টিও শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। এই সব লক্ষণ দেখা গেলে অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া উচিত।
১০) চুলকানি এটি ডায়াবেটিস রোগীদের ত্বকের সবচেয়ে সাধারণ সমস্যা। এটি শরীরের ত্বক শুষ্ক করে তোলে বিশেষ করে পায়ের নীচের অংশে। তাই এই ধরণের লক্ষণ দেখা দিলে সচেতনতা আবশ্যক।
হাইপোগ্লাইসিমিয়া ও হাইপারগ্লাইসিমিয়া
রক্তের সুগার অতি উচ্চমাত্রায় পৌঁছে গেলে তা প্রাণঘাতী জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন—
ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিস—ফ্যাট বা চর্বি ভেঙ্গে শরীরে শক্তি উৎপাদনের প্রয়োজন হলে
এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। চর্বি ভাঙনের ফলে দেহে কিটোন বডি নামক রাসায়নিক পদার্থ তৈরি
হয়। অতিরিক্ত কিটোন বডি জমে গেলে ডায়াবেটিক কিটোএসিডোসিস দেখা দিতে পারে—যা থেকে রোগী ডায়াবেটিক কোমায় পর্যন্ত চলে যেতে পারে।
সাধারণত টাইপ ১ ডায়াবেটিসের রোগীদের এই সমস্যা হয়ে থাকে। টাইপ ১ ডায়াবেটিস ও টাইপ ২ ডায়াবিটিস।
টাইপ ১ এর ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না।
হাইপারঅসমোলার হাইপারগ্লাইসেমিক স্টেট—রক্তের সুগার অতি উচ্চমাত্রায় পৌঁছে গেলে শরীর এই অতিরিক্ত
সুগার বের করে দেয়ার চেষ্টা করে। এই প্রক্রিয়ায় মারাত্মক পানিশূন্যতা দেখা দেয়।
সাধারণত টাইপ ২ ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়। টাইপ ২ এর ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির
শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন উৎপন্ন হয় না অথবা উৎপন্ন হলেও সঠিকভাবে কাজ করে না।
রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডাক্তারের দেওয়া
পরামর্শগুলো মেনে চলতে হবে। আপনার করণীয় সম্পর্কে সূস্পষ্ট ধারণা না থাকলে
ডাক্তারের সাথে কথা বলে আপনার করণীয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন।
ডায়াবেটিস শনাক্ত করার জন্য সবচেয়ে সঠিক ও বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো ওরাল
গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট বা ওজিটিটি। এই পদ্ধতিতে রোগীকে সকালে খালি পেটে একবার
রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করতে হয়, তারপর ৭৫ গ্রাম
গ্লুকোজ শরবত পানের দুই ঘণ্টা পর আরেকবার রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করা হয়। এই
পদ্ধতিতে নির্ভুলভাবে ডায়াবেটিস ও প্রি-ডায়াবেটিস নির্ণয় করা যায়।
কোন বয়সে রক্তে শর্করার মাত্রা কত হওয়া
স্বাভাবিক?
·
৬ বছরের নীচে শিশুদের ফাস্টিং সুগার হওয়া উচিত ৮০ থেকে ১৮০
মিলিগ্রাম/ডিএল-এর মধ্যে।
·
৬ থেকে ১২ বছরের শিশুদের ফাস্টিং সুগার হওয়া উচিত ৮০ থেকে
১৮০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর মধ্যে।
·
১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সিদের ফাস্টিং সুগার হওয়া উচিত ৭০ থেকে
১৫০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর মধ্যে।
· ২০ বছরের উপরে যাঁদের বয়স, তাঁদের ফাস্টিং সুগার ১০০ মিলিগ্রাম/ডিএল-এর নীচে থাকাই শ্রেয়।
সুগার কমানোর ঘরোয়া উপায়
১. খাবারের
তালিকা পরিবর্তন: যেসব খাবার খেলে রক্তে সুগার বেড়ে যায়, সেগুলো এড়িয়ে
চলার পরামর্শ দেয়া হতে পারে। এসব খাবারের মধ্যে রয়েছে কেক, মিষ্টি ও
বিভিন্ন চিনিযুক্ত পানীয়।
২. প্রচুর
পরিমাণে জল ও চিনিমুক্ত পানীয় পান করা: এভাবে অতি উচ্চমাত্রার হাইপারগ্লাইসেমিয়ার
কারণে সৃষ্ট পানিশূন্যতার সমাধান হবে।
৩. নিয়মিত
শরীরচর্চা করা: নিয়মিত হাঁটাহাঁটির মতো হালকা ব্যায়াম করলেও
তা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। অতিরিক্ত ওজনের অধিকারীদের ক্ষেত্রে
বিভিন্ন শরীরচর্চা পদ্ধতি ওজন কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে
হাইপারগ্লাইসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
৪. ইনসুলিনের
ডোজ পরিবর্তন: ইনসুলিন ব্যবহারকারীদের ক্ষেত্রে ব্লাড সুগার
নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ইনসুলিনের ডোজ পরিবর্তনের প্রয়োজন হতে পারে। এ বিষয়ে
ডাক্তারের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ নেওয়া উচিত।
![]() |
ব্লাড সুগার কি কারণে হয়। Diabetes রোগীর খাদ্য তালিকা |
৫. নিয়মিত পর্যবেক্ষণ: ডায়াবেটিস
রোগীকে নিয়মিত রক্তের সুগার পরিমাপ করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ডায়াবেটিক
কিটোএসিডোসিস নির্ণয়ের উদ্দেশ্যে রক্ত অথবা মূত্র পরীক্ষায় কিটোন টেস্ট করা হতে
পারে। ব্লাড সুগার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কোনো নতুন লক্ষণ দেখা দিচ্ছে
কি না সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এমন লক্ষণ কোনো গুরুতর সমস্যা নির্দেশ করতে পারে৷
দাম জানতে ক্লিক করুণ
রক্তের সুগার বেড়ে যাওয়া প্রতিরোধের উপায়:
সহজ কিছু উপায় অবলম্বন করে গুরুতর বা
দীর্ঘমেয়াদী হাইপারগ্লাইসেমিয়ার ঝুঁকি কমানো সম্ভব। যেমন—
শুয়েবসে না থেকে যতটুকু সম্ভব সক্রিয় থাকার চেষ্টা করুন। নিয়মিত শরীরচর্চা রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে যারা ডায়াবেটিসের ঔষধ সেবন করেন তাদের ক্ষেত্রে ব্যায়াম শুরু করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ কিছু ঔষধ খাওয়া অবস্থায় ভারী ব্যায়াম অথবা অধিক শরীরচর্চা করলে ঔষধগুলোর প্রভাবে সুগারের পরিমাণ অতিরিক্ত মাত্রা কমে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।
অসুস্থ অবস্থায় বাড়তি যত্ন নিন। অসুস্থ অবস্থায় রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে ডাক্তার কিছু বিশেষ পরামর্শ মেনে চলার উপদেশ দিতে পারেন।
আসুন এবার আলোচনা করা যাক হাইপোগ্লাইসেমিয়া সম্পর্কে
কখন
হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলা যায়
যদি কারও রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ
প্রতি লিটার ৪ মিলিমোলের (প্রতি ডেসিলিটারে ৭০ মিলিগ্রাম) কম হয়ে যায়, তবে
হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়েছে বলা যায়। কিছু উপসর্গের মাধ্যমে রোগী এটা বুঝতে পারবেন।
রক্তে গ্লুকোজ কমে যেতে থাকলে হাত বা শরীর কাঁপা, বুক ধড়ফড়, ঘামতে থাকা, অস্থির লাগা, মেজাজ খারাপ হওয়া, চোখ ঝাপসা হয়ে
আসা, মাথাব্যথা
ইত্যাদি উপসর্গ শুরু হয়। যদি দ্রুত গ্লুকোজ না গ্রহণ করা হয় তবে মস্তিষ্কে শর্করা
কমে যেতে থাকে আর রোগী ভুল,
অসংলগ্ন কথা বলতে থাকেন,
অর্ধচেতন বা অচেতন হয়ে পড়েন। কখনো খিঁচুনি শুরু হয়ে যায়। একজন ডায়াবেটিসের
রোগী, বিশেষ
করে যারা ইনসুলিন বা ইনসুলিন উৎপাদনকারী ওষুধ সেবন করছেন, তাঁদের এই
লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি।
কেন হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়
এর একাধিক কারণ থাকে
- সবসময়ে সেগুলি ধরতেও পারা যায় না। বেশী ওষুধ নেওয়া বা নিতে ভুলে যাওয়া, সময়মত খাবার না খাওয়া,
কম
খাবার খাওয়া, নিয়মের বাইরে বেশী এক্সারসাইজ
করা, উষ্ণ আবহাওয়া, বেশী মদ্যপান করা - ইত্যাদি নানা করণে হাইপো হতে পারে।
ডায়াবিটিসকে
কব্জা করে রাখতে ইনসুলিন ব্যবহার করা হয়,
কিন্তু
হাইপো হবার একটা কারণ অত্যাধিক ইনসুলিন নিয়ে ফেলা। ইনসুলিনের ডোজ ঠিকমত নির্ণয় করা
সহজ কাজ নয়। তার একটা কারণ, খাওয়াদাওয়ার পরিমাণ, কি ধরণের খাবার,
কতটা
এক্সারসাইজ করা হচ্ছে - ইত্যাদির উপর নির্ভর করে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ। মদ্যপান
রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমায়। গর্ভধারণ করলে বা স্তন্যদানকালে রক্তে গ্লুকোজের
পারিমাণ কমে।
হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে কী করবেন
যদি হাইপোগ্লাইসেমিয়ার লক্ষণ টের
পান, তবে
সম্ভব হলে দ্রুত একটি গ্লুকোমিটারে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নিন।
যদি তা সম্ভব না–ও হয়, তবু
হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়েছে ধরে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ১০ থেকে ১৫ গ্রাম পরিমাণ গ্লুকোজ
খেয়ে নিন। সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো এক গ্লাস জলে আড়াই-তিন চামচ চিনি গুলে দ্রুত পান
করা। একটা চকলেট, মিষ্টি, ক্যানডি, চিনি মেশানো
জুস খেলেও চলবে। ১৫ মিনিট পর আবার গ্লুকোজ পরীক্ষা করুন। যদি আবারও কম দেখায়, তবে আবার গ্রহণ
করুন। যতক্ষণ না রক্তের গ্লুকোজ ৬-৭ মিলিমোলের ওপর ওঠে ততক্ষণ বারবার পান করতে
হবে। কিন্তু যদি এমন হয় যে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার জন্য রোগী অর্ধচেতন বা অচেতন হয়ে
পড়েছেন তবে জোর করে চিনির জল খাওয়ালে ও হবে না। সে ক্ষেত্রে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে
শিরায় গ্লুকোজ দিতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা / ডায়েট চার্টঃ
ডায়াবেটিস রোগীর জন্য মোট ক্যালরি উৎসের ২০% আসবে আমিষ
থেকে, ৩০% আসবে ফ্যাট থেকে এবং ৫০% আসবে শর্করা থেকে।
সকালের নাস্তা (সকাল ৭.৩০টা–৮.৩০ টা) |
দুপুরের খাবার (দুপুর ১.৩০টা–২.৩০টা) |
বিকেলের নাস্তা (বিকেল ৫.৩০টা–৬.৩০টা) |
রাতের খাবার (রাত ৯টা–১০.০০টা |
১।রুটিঃ ১টা
গমের আটার রুটি (মিডিয়াম) |
১।ভাতঃ দেড়
কাপ ভাত |
১।সিজনাল ফলঃ
পছন্দমত ১ সিজনাল ফল |
১।রুটি অথবা
ভাতঃ ১/২ কাপ ভাত অথবা ১ টা আটার রুটি |
২।দুধঃ ১
গ্লাস ফ্যাট ছাড়া দুধ বা স্কিম মিল্ক |
২।মাছ বা
মাংশঃ ৬০ গ্রাম পরিমাণ রান্না করা মাছ বা মাংস (ফ্যাট ছাড়া) |
২।বাদাম,
বুট এবং কলাই
জাতীয় খাদ্যঃ ১/৪ কাপ বাদাম বা কলাই জাতীয় খাদ্য |
২।মাছ অথবা
মাংসঃ ৬০ গ্রাম পরিমাণ রান্না করা মাছ বা মাংস (ফ্যাট ছাড়া) |
৩।ডিমঃ ১ টা
মুরগী অথবা হাঁসের ডিম (সিদ্ধ অথবা ভাঁজি) |
৩।শাক সবজিঃ ১
কাপ পাতা যুক্ত শাক খাকবে অবশ্যই, বাকী দেড় কাপ অন্যান্য সবজি |
৩।শাক সবজিঃ
কাপ পাতা যুক্ত শাক খাকবে অবশ্যই, বাকী আধ কাপ অন্যান্য সবজি |
|
৪।শাক সবজিঃ ১ কাপ
পাতা যুক্ত শাক বা ১/২ কাপ সবজি |
৪।ডালঃ ১ কাপ
মাঝারি ঘন ডাল |
৪।সিজনাল ফলঃ
১ সিজনাল ফল |
কোন কোন তেঁতো খাবার খেলে সুগারের হাত থেকে মুক্তি মিলতে পারে তা জেনে নিন-
মেথি দানাঃ এক গ্লাস গরম জলে মেথি দানা ভিজিয়ে রেখে ১০ মিনিট থিতিয়ে যাওয়ার সময় দিন। এর পর লেবু আর মধু মিশিয়ে তরলটি পান করুন। রুটি, পরোটা, দোসা, ইডলি, রান্নার ঝোল, স্যালাড এবং মাছ ভাজাতেও মেথি পাতা দিয়ে রান্না করতে পারেন। স্বাদেও ভালো হবে, আর উপকারও মিলবে।
কালো জিরাঃ একটি সাধারণ উপকরণ হলেও এর গুণাগুণ অসাধারণ।কালো রঙের ছোট্ট এই বীজে রয়েছে পটাসিয়াম,
প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে
কালো জিরার তেলের ভূমিকা অপরিসীম। এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের জন্য বিশেষ উপকারী। এতে রয়েছে শক্তিশালী
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে বেশ কয়েকটি উপায়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
খনিজ উপাদানে ভরপুর। আম পাতায় মেঞ্জিফিরিন নামক সক্রিয় উপাদান থাকে যার অপরিমেয় স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আম পাতার ব্যবহার সুদূর প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। প্রথমে একটি বাটিতে দেড় গ্লাস জল
নিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে আম পাতাগুলো এতে ঢেলে দিন। তারপর প্রায় ১৫ মিনিট হালকা আঁচে গরম করে নিন। তারপর
ঠাণ্ডা করুন। সারারাত একটি বোতলে সংরক্ষণ করে সকালে উঠে খালি পেটে পান করুন। একটানা ১-২ মাস খেলে আস্তে আস্তে উপকার পেতে শুরু করবেন।
উঃ- ১. ঘন ঘন প্রস্রাব পায়
২. বিনা পরিশ্রমেও শরীররে অধিক ক্লান্তি বোধ করা।
৩. ঘা শুকাতে চায় না
৪. বারবার সংক্রমণ হতে থাকে
৫. দেখতে সমস্যা হয়
৬. ত্বক চুলকাতে পারে ইত্যাদি।
প্রঃ- সুগার হলে কি কি খাওয়া যাবে না?
উঃ- ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড, অতিরিক্ত ভাজাভুজি, মিষ্টি জাতীয় খাবার বা অতিরিক্ত নুন আছে এমন খাবার খাওয়া যাবে না কারণ এধরণের খাবার থেকে অতিরিক্ত পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করে শরীর। তাই এই সব খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ