Banner

হনুমান চালিশা পাঠ করার উপকারিতা | হনুমান চালিশা বাংলা

 

হনুমান চালিশা পাঠের মাহাত্ম্য 

হনুমান চালিশা পাঠ, জেনে নিন এর মাহাত্ম্যঃ হনুমান চালিশা পাঠ করার মধ্যে এমন একটি শক্তি আছে, যা আমাদের চারপাশের নেগেটিভ শক্তিকে সরিয়ে পজিটিভ শক্তি ভরিয়ে তুলতে সাহায্য করে। পজিটিভ শক্তি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় হনুমান চালিশা পাঠ করলে অনেকের মতে, হনুমান মহামন্ত্র পাঠ করলে নানা রকম উপকার পাওয়া যায়। সব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রতি মঙ্গলবারে পাঠ করুন হনুমান চালিশা। 

হনুমান চালিশা যে কেবল শনি-মঙ্গল বার পাঠ করা ভালো তা নয়, প্রতিদিনই হনুমান চালিশা পাঠ করলে উপকার পাওয়া যায়।

শনিবার ১০৮ বার হনুমান মহামন্ত্র জপ করুনফল পাবেন হাতে নাতে!

হনুমান চালিশা পাঠ করার উপকারিতা | হনুমান চালিশা বাংলা
হনুমান চালিশা পাঠ করার উপকারিতা | হনুমান চালিশা বাংলা



অন্যান্য মতই  দেবতাদের অন্যতম  দেবতা হলেন বীর হনুমান। হনুমান সাহস ও শক্তির প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত। ভগবান হনুমান হলেন রামায়ণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। প্রতি বছর চৈত্র মাসে শুক্লপক্ষের ১৫তম দিনে হনুমান জয়ন্তী পালন করা হয় পূর্ণিমায়। ভগবান হনুমানের সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য। সংস্কৃত ভাষায় শ্রী হনুমানের ১০৮ টি নাম আছে।

শ্রী হনুমান ব্রহ্মচারী ছিলেন, তিনি কখনও  বিবাহ  করেননি। তবে তার এক পুত্র সন্তান ছিল। তাঁর নাম ছিল মকরধ্বজ । রাবণ লঙ্কায় অগ্নিকাণ্ডের পরে লেজের আগুন নেভাতে যখন বীর হনুমান তাঁর লেজ সমুদ্রের জলে চুবিয়েছিলেন। তখন তার এক ফোঁটা ঘাম থেকে জন্ম হয় মকরধ্বজের। এরপর থেকেই মকরধ্বজ হনুমানকে নিজের পিতা ভাবেন।

আরও পড়ুনঃ কুবের মন্ত্র


শ্রী হনুমান পিতার নাম কেশরী এবং অঞ্জনা ছিলেন তাঁর মাতা। অঞ্জনা দেবী ছিলেন ভগবান শিবের ভক্ত। এছাড়াও তাকে পবন পুত্রও বলা হয়। ভক্তি আর শক্তির  অনন্য উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় হনুমানকে। হনুমান হলেন  শিবের একাদশতম অবতার। ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করে নারদ মুনি হনুমানকে বধ করতে গিয়েছিলেন। ঠিক তখনই  হনুমান একমনে শ্রীরাম নাম জপ করতে থাকেন আর সেই রাম নামেই অকেজো হয়ে যায় এই  সবচেয়ে শক্তিশালী ব্রহ্মাস্ত্র।
হনুমান চালিশা পাঠ করার উপকারিতা | হনুমান চালিশা বাংলা
হনুমান চালিশা পাঠ করার উপকারিতা | হনুমান চালিশা বাংলা

সীতা দেবী একবার শ্রী হনুমানকে উপহার হিসাবে একটি  মুক্তোর মালা দিয়েছিলেন তখন হনুমান তা বিনীতভাবে ফেরত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন তাঁর প্রভু রামের নাম ছাড়া  কোনও কিছুই গ্রহণ করেন না সে। তার এই কথা প্রমাণ করার জন্য সে তাঁর বুক চিরে ফেলেছিলেন। 

আরও পড়ুনঃ গণেশ বন্দনা, প্রণাম মন্ত্র 

 হনুমান চালিশা পাঠ করার মধ্যে এমন একটি শক্তি আছে, যা আমাদের চারপাশের নেগেটিভ শক্তিকে সরিয়ে পজিটিভ শক্তি ভরিয়ে তুলতে সাহায্য করে। পজিটিভ শক্তি খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় হনুমান চালিশা পাঠ করলে। অনেকের মতে, হনুমান মহামন্ত্র পাঠ করলে নানা রকম উপকার পাওয়া যায়। হনুমান চালিশা যে কেবল শনিবার পাঠ করা ভালো তা নয় প্রতিদিনই হনুমান চালিশা পাঠ করলে উপকার পাওয়া যায়।


হনুমান চালিশা পাঠ করার উপকারিতা | হনুমান চালিশা বাংলা
হনুমান চালিশা পাঠ করার উপকারিতা | হনুমান চালিশা বাংলা

৪০ অধ্যায়ে সেখা হনুমান চালিশার রচনা করেন রামভক্ত তুলসি দাস
। পুরানো নথি ঘেঁটে জানা যায় হনুমান চালিশা লেখার পিছেন যে কারণ রয়েছে। কথিত আছে
, তুলসি দাস একদিন মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের দরবারে গিয়েছিলেন। সেখানে সম্রাট তাঁকে আদেশ দেন যে তিনি শ্রী রামের দেখা করতে চান। এর উত্তরে কবি জানান, ভক্তের ভক্তি, বিশ্বাস শীর্ষে না পৌঁছালে ভগবান রামের দেখা পাওয়া সম্ভব নয়। লেখকের এই উত্তর ঔরঙ্গজেবের একেবারেই পছন্দ হয়নি। এর ফল হিসেবে কবি দেওয়া হয় কারাদন্ড। অন্ধকার কারা কুঠিরে সময় কাটানোর সময় তুলসি দাস হনুমানের সম্পর্কে যা অনুভাব করেছিলেন, তাই তিনি লিখেতে শুরু করেছিলেন। ধীরে ধীরে লেখকের ভাবনায় শব্দের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। দেখতে দেখতে শব্দবন্ধ আরও বেড়ে যায়। জন্ম হয় এক শক্তি কুন্ডের, যার নাম হয় হনুমান চালিশা। কথিত আছে, হনুমান চালিশা সঙ্গে থাকার কারণে জেলখানায় থাকাকলীন তুলসি দাসের কোনও কষ্টই হয়নি।

সাফল্য পেতে চাইলেমঙ্গলবার অবশ্যই এই কাজগুলি করে ফেলুন

পর পর ১১টি মঙ্গলবার কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে সমস্ত রকমের বাধা বিপত্তি দূর করা যায়। আপনিও জেনে নিন মঙ্গলবার কোন কোন কাজগুলি করবেন-

১. মঙ্গলবার ঘুম থেকে উঠে স্নান করে শুদ্ধ বস্ত্র পড়ে মন্দিরে যান৷ সিঁদুরের সঙ্গে চামেলির তেল মিশিয়ে তা হনুমানজিকে পরান। এর পরে ওম রাম দূতায় নমঃ’- এই মন্ত্র ১০৮ বার জপ করুন।

হনুমান চালিশা পাঠ করার উপকারিতা | হনুমান চালিশা বাংলা
হনুমান চালিশা পাঠ করার উপকারিতা | হনুমান চালিশা বাংলা


২. টানা ১১টি মঙ্গলবার রাতে হনুমানজির সামনে তেলের প্রদীপ জ্বালান। চেষ্টা করুন শুধু মঙ্গলবার নয়, রোজই সন্ধ্যায় তেলের প্রদীপ জ্বালাতে। এতে ধনসম্পদের বৃদ্ধি হয়।

৩. হনুমান চল্লিশা পাঠ করুন পরপর ১১টি মঙ্গলবার। এদিন নিরামিষ খাবার খান।

৪. এই ১১টি মঙ্গলবার শেষ হওয়ার মধ্যে রামায়ণ পড়া শুরু করে শেষ করুন। কখনই অসম্পূর্ণ ছেড়ে দেবেন না পড়তে পড়তে।

৫. কর্মক্ষেত্রে সমস্যা হলে হনুমানজিকে ১১টি বোঁদের লাড্ডু নিবেদন করুন। এর পরে সেই ভোগ ভক্তদের মধ্যে বিতরণ করে দিন।


বাধা কেটে যায়: কখনও কখনও আমাদের সামনে এমন বাঁধা আসে যে সেই সময় কী করা উচিত, তা ভেবে পাওয়া যায়। 

নেগেটিভ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না: একথা অনেকেই বিশ্বাস করেন যে আমাদের চারপাশে ঘোরাফেরা করা আত্মা বা নেগেটিভ এনার্জি নানাভাবে আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে যায়। এমন ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে নিয়মিত হনুমান চালিশা পড়া উচিত। 

স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়: আজকের দিনে দেখতে পাবেন মারণ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পয়েছে, সেই সবকটি রোগের সঙ্গে স্ট্রেসের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই সুস্থভাবে যদি বাঁচতে চান, তাহলে স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদকে বাগে আনতেই হবে। নিয়মিত হনুমান চালিশা পড়া শুরু করলে স্ট্রেস লেভেল তো কমবেই, সেই সঙ্গে মনও খুশিতে ভরে উঠবে।

বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়:  আমরা যখন কোন দূর ভ্রমণে বা কাজের উদ্দেশ্যে যাই তখন বজরংবলীকে স্মরণ করে বের হলে, যেকোন বাধা-বিপত্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। গাড়ীর ড্যাশবোর্ডে হনুমানজীর ছবি অথবা প্রতিকৃতি রাখা খুবই ফলপ্রসু। এতে মনে সাহসের সঞ্চার হয় এবং যাত্রাপথও সুগম হয়।     



শনির সাড়ে সাতির প্রভাব কমতে থাকে: সকলেই জানেন যে শনির মহাদশা চললে জীবনে কোনও কিছুই ঠিক মতো চলে না। একের পর এক বাঁধায় দুর্বিসহ হয়ে ওঠে জীবন। এমন পরিস্থিতিতে সুখের সন্ধান দিতে পারে একমাত্র হনুমান চালিশা।

আরও পড়ুনঃ শনিদেবের প্রকোপ থেকে বাঁচতে চান

                    ★★আসুন পাঠ করি হনুমান চল্লিশা★★.

ভক্ত হও তো রাম ভক্ত হনুমানের মত হও!
দুর্বল চিত্ত নিয়ে কখনো ভগবানের সাধনা হয় না.!
তাই আমাদের উচিত ভক্ত হনুমানকে অনুসরণ করে তার মতই নির্ভয় চিত্ত নিয়ে ভগবানের সাধনা করা আর তাহলেই আমাদের অন্তরেও বিরাজ করবে "শ্রী রাম".!
.

আসুন সবাই এক সাথে পাঠ করি হনুমান চল্লিশা...

জয় শ্রী শ্রী হনুমান চালীসা

শ্রীহনুমতে নমঃ

হনুমান চালীসা

দোহা

শ্রী গুরু চরন সরোজ রজ নিজমনু মুকুরু সুধারি |

বরনঊ রঘুবর বিমল জসু জো দায়কু ফল চারি ||

বুদ্ধিহীন ননু জানিকে সুমিরৌ পবন কুমার |

বল বুদ্ধি বিদ্যা দেহু মোহি হরহু কলেস বিকার ||

ধ্যান

গোষ্পদীকৃত বারাশিং মশকীকৃত রাক্ষসম |

রামায়ণ মহামালা রত্নং বংদে অনিলাত্মজম ||

য়ত্র য়ত্র রঘুনাথ কীর্তনং তত্র তত্র কৃতমস্ত কাংজলিম |

ভাষ্পবারি পরিপূর্ণ লোচনং মারুতিং নমত রাক্ষসাংতকম ||

চৌপাঈ

জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর |

জয় কপীশ তিহু লোক উজাগর || ||

রামদূত অতুলিত বলধামা |

অংজনি পুত্র পবনসুত নামা || ||

মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গী |

কুমতি নিবার সুমতি কে সঙ্গী ||||

কংচন বরণ বিরাজ সুবেশা |

কানন কুংডল কুংচিত কেশা || ||

হাথবজ্র ঔ ধ্বজা বিরাজৈ |

কাংথে মূংজ জনেঊ সাজৈ || ||

শংকর সুবন কেসরী নন্দন |

তেজ প্রতাপ মহাজগ বন্দন || ||

বিদ্য়াবান গুণী অতি চাতুর |

রাম কাজ করিবে কো আতুর || ||

প্রভু চরিত্র সুনিবে কো রসিয়া |

রামলখন সীতা মন বসিয়া || ||

সূক্ষ্ম রূপধরি সিয়হিং দিখাবা |

বিকট রূপধরি লংক জরাবা || ||

ভীম রূপধরি অসুর সংহারে |

রামচংদ্র কে কাজ সংবারে || ১০ ||

লায় সংজীবন লখন জিয়ায়ে |

শ্রী রঘুবীর হরষি উর লায়ে || ১১ ||

রঘুপতি কীন্হী বহুত বডাঈ |

তুম মম প্রিয় ভরতহি সম ভাঈ || ১২ ||

সহস বদন তুম্হরো জাস গাবৈ |

অস কহি শ্রীপতি কণ্ঠ লগাবৈ || ১৩ ||

সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনীশা |

নারদ শারদ সহিত অহীশা || ১৪ ||

জম(য়ম) কুবের দিগপাল জহাং তে |

কবি কোবিদ কহি সকে কহাং তে || ১৫||

তুম উপকার সুগ্রীবহি কীন্হা |

রাম মিলায় রাজপদ দীন্হা || ১৬ ||

তুম্হরো মন্ত্র বিভীষণ মানা |

লংকেশ্বর ভএ সব জগ জানা || ১৭ ||

য়ুগ সহস্র য়োজন পর ভানূ |

লীল্য়ো তাহি মধুর ফল জানূ || ১৮ ||

প্রভু মুদ্রিকা মেলি মুখ মাহী |

জলধি লাংঘি গয়ে অচরজ নাহী || ১৯ ||

দুর্গম কাজ জগত কে জেতে |

সুগম অনুগ্রহ তুম্হরে তেতে || ২০ ||

রাম দুআরে তুম রখবারে |

হোত ন আজ্ঞা বিনু পৈসারে || ২১ ||

সব সুখ লহৈ তুম্হারী শরণা |

তুম রক্ষক কাহূ কো ডর না || ২২ ||

আপন তেজ তুম্হারো আপৈ |

তীনোং লোক হাংক তে কাংপৈ || ২৩ ||

ভূত পিশাচ নিকট নহি আবৈ |

মহবীর জব নাম সুনাবৈ || ২৪ ||

নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা |

জপত নিরংতর হনুমত বীরা || ২৫ ||

সংকট তেং(সেং) হনুমান ছুডাবৈ |

মন ক্রম বচন ধ্য়ান জো লাবৈ || ২৬ ||

সব পর রাম তপস্বী রাজা |

তিনকে কাজ সকল তুম সাজা || ২৭||

ঔর মনোরধ জো কোই লাবৈ |

সোঈ অমিত জীবন ফল পাবৈ || ২৮ ||

চারো যুগ পরিতাপ তুম্হারা |

হৈ পরসিদ্ধ জগত উজিয়ারা || ২৯ ||

সাধু সন্ত কে তুম রখবারে |

অসুর নিকন্দন রাম দুলারে || ৩০ ||

অষ্ঠসিদ্ধি নৌ(নব) নিধি কে দাতা |

অস বর দীন্হ জানকী মাতা ||৩১ ||

রাম রসায়ন তুম্হারে পাসা |

সাদ রহো রঘুপতি কে দাসা || ৩২ ||

তুম্হরে ভজন রামকো পাবৈ |

জনম জনম কে দুখ বিসরাবৈ || ৩৩ ||

অংত কাল রঘুবর পুরজাঈ |

জহাং জন্ম হরিভক্ত কহাঈ || ৩৪ ||

ঔর দেবতা চিত্ত ন ধরঈ |

হনুমত সেই সর্ব সুখ করঈ || ৩৫ ||

সংকট কটৈ মিটৈ সব পীরা |

জো সুমিরৈ হনুমত বল বীরা || ৩৬ ||

জৈ জৈ জৈ হনুমান গোসাঈ |

কৃপা করো গুরুদেব কী নাঈ || ৩৭ ||

জো শত বার পাঠ কর কোঈ |

ছূটহি বন্দি মহা সুখ হোঈ || ৩৮ ||

জো য়হ পডৈ হনুমান চালীসা |

হোয় সিদ্ধি সাখী গৌরীশা || ৩৯ ||

তুলসীদাস সদা হরি চেরা |

কীজৈ নাথ হৃদয় মহ ডেরা || ৪০ ||

দোহা

পবন তনয় সঙ্কট হরণ মঙ্গল মূরতি রূপ |

রাম লখন সীতা সহিত হৃদয় বসহু সুরভূপ ||

সিয়াবর রামচন্দ্রকী জয় |
পবনসুত হনুমানকী জয় |
বোলো ভাই সব সন্তনকী জয় |

সবাই বলুন -
জয় শ্রীরাম - জয় বজরঙ্গবলীর জয়। 

FAQ:-

প্রঃ হনুমান চালিশা পাঠ করার নিয়ম

উঃ হনুমান চালিসা পড়ার আগে একটি লাল কাপড়ে বজরং বলির ছবি রাখুন। এর পর গরুর দুধ দিয়ে তৈরি ঘি জ্বালিয়ে দিন। হনুমান চালিসা পাঠ করার সময় একটি লাল আসনের উপর বসুন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিশেষ যত্ন নিন। স্বাস্থ্যকর পরিবেশে এবং শান্ত মনে হনুমান চালিসা পাঠ করুন। মঙ্গল ও শনিবার হনুমান চালিসা পাঠ করলে মঙ্গলদোষ, শনির সাড়ে সতি প্রভৃতি দোষের সংশোধন হয়।

প্রঃ বাংলায় হনুমানজী - র সঙ্কটমোচন মন্ত্র

উঃ বায়ুপুত্র অঞ্জনেয় বলী হনুমান।

    রাম-কিঙ্কর পাত্র-মিত্র মহাবলবান।।

     লাঙ্ঘিয়া সাগর সীতার শোক বিনাশিলে।

    দশাননে দর্প হরি লক্ষণে বাঁচাইলে।।

    কপি শ্রেষ্ঠ পিঙ্গাগ তুমি মহাত্মনন্‌।

    নিদ্রাভঙ্গে, শয়নকালে কিংবা যাত্রক্ষণ।।

    মহাবীরের দ্বাদশনাম নাশে সর্ব ভয়।

    সঙ্কটমোচন করে রণেতে বিজয়।।

    জয় শ্রী রাম,  জয় শ্রী রাম,  জয় শ্রী রাম।

প্রঃ হনুমান চালিশা পাঠের উপকারিতা

উঃ      সমস্ত বাধা-বিপত্তি কেটে যায়।

         মন বল বৃদ্ধি পায়।

         নেগেটিভ শক্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

         স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

         শনির সাড়ে সাতির প্রভাব কমতে থাকে।      

প্রঃ হনুমান চালিশা রাতে পাঠ করলে কি হয়

উঃ রাতে হনুমান চালিশা পাঠ করলে মানসিক শান্তি ও মনের জোড় বৃদ্ধি পায়।

    রাতে হনুমান চালিশা পাঠ করলে আর্থিক সমস্যা থেকে খুব দ্রুত মুক্তি লাভ পাওয়া যায়।

    পরিবারের সকলের সাথে সম্পর্কের উন্নতি ঘটে রাতে হনুমান চালিশা পাঠ করলে।

    বাস্তু দোষ থাকলে তা কেটে গিয়ে বাড়ীতে পজেটিভ্‌ শক্তির সঞ্চার হয়।

    নিয়ম মেনে রাতে রাতে হনুমান চালিশা পাঠ করলে মানসিক অবাসাদ মুক্ত হওয়া যায়।

প্রঃ হনুমান চালিশা হিন্দি

উঃ  श्री हनुमान चालीसा लिरिक्स 

॥ दोहा॥
श्रीगुरु चरन सरोज रज
निज मनु मुकुरु सुधारि ।
बरनउँ रघुबर बिमल जसु
जो दायकु फल चारि ॥

बुद्धिहीन तनु जानिके
सुमिरौं पवन-कुमार ।
बल बुधि बिद्या देहु मोहिं
हरहु कलेस बिकार ॥


॥ चौपाई ॥
जय हनुमान ज्ञान गुन सागर ।
जय कपीस तिहुँ लोक उजागर ॥

राम दूत अतुलित बल धामा ।
अंजनि पुत्र पवनसुत नामा ॥

महाबीर बिक्रम बजरंगी ।
कुमति निवार सुमति के संगी ॥

कंचन बरन बिराज सुबेसा ।
कानन कुण्डल कुँचित केसा ॥४

हाथ बज्र अरु ध्वजा बिराजै ।
काँधे मूँज जनेउ साजै ॥

शंकर स्वयं/सुवन केसरी नंदन ।
तेज प्रताप महा जगवंदन ॥

बिद्यावान गुनी अति चातुर ।
राम काज करिबे को आतुर ॥

प्रभु चरित्र सुनिबे को रसिया ।
राम लखन सीता मन बसिया ॥८

सूक्ष्म रूप धरि सियहिं दिखावा ।
बिकट रूप धरि लंक जरावा ॥

भीम रूप धरि असुर सँहारे ।
रामचन्द्र के काज सँवारे ॥

लाय सजीवन लखन जियाए ।
श्री रघुबीर हरषि उर लाये ॥

रघुपति कीन्ही बहुत बड़ाई ।
तुम मम प्रिय भरतहि सम भाई ॥१२

सहस बदन तुम्हरो जस गावैं ।
अस कहि श्रीपति कण्ठ लगावैं ॥

सनकादिक ब्रह्मादि मुनीसा ।
नारद सारद सहित अहीसा ॥

जम कुबेर दिगपाल जहाँ ते ।
कबि कोबिद कहि सके कहाँ ते ॥

तुम उपकार सुग्रीवहिं कीह्ना ।
राम मिलाय राज पद दीह्ना ॥१६

तुम्हरो मंत्र बिभीषण माना ।
लंकेश्वर भए सब जग जाना ॥

जुग सहस्त्र जोजन पर भानु ।
लील्यो ताहि मधुर फल जानू ॥

प्रभु मुद्रिका मेलि मुख माहीं ।
जलधि लाँघि गये अचरज नाहीं ॥

दुर्गम काज जगत के जेते ।
सुगम अनुग्रह तुम्हरे तेते ॥२०

राम दुआरे तुम रखवारे ।
होत न आज्ञा बिनु पैसारे ॥

सब सुख लहै तुम्हारी सरना ।
तुम रक्षक काहू को डरना ॥

आपन तेज सम्हारो आपै ।
तीनों लोक हाँक तै काँपै ॥

भूत पिशाच निकट नहिं आवै ।
महावीर जब नाम सुनावै ॥२४

नासै रोग हरै सब पीरा ।
जपत निरंतर हनुमत बीरा ॥

संकट तै हनुमान छुडावै ।
मन क्रम बचन ध्यान जो लावै ॥

सब पर राम तपस्वी राजा ।
तिनके काज सकल तुम साजा ॥

और मनोरथ जो कोई लावै ।
सोई अमित जीवन फल पावै ॥२८

चारों जुग परताप तुम्हारा ।
है परसिद्ध जगत उजियारा ॥

साधु सन्त के तुम रखवारे ।
असुर निकंदन राम दुलारे ॥

अष्ट सिद्धि नौ निधि के दाता ।
अस बर दीन जानकी माता ॥

राम रसायन तुम्हरे पासा ।
सदा रहो रघुपति के दासा ॥३२

तुम्हरे भजन राम को पावै ।
जनम जनम के दुख बिसरावै ॥

अंतकाल रघुवरपुर जाई ।
जहाँ जन्म हरिभक्त कहाई ॥

और देवता चित्त ना धरई ।
हनुमत सेइ सर्ब सुख करई ॥

संकट कटै मिटै सब पीरा ।
जो सुमिरै हनुमत बलबीरा ॥३६

जै जै जै हनुमान गोसाईं ।
कृपा करहु गुरुदेव की नाईं ॥

जो सत बार पाठ कर कोई ।
छूटहि बंदि महा सुख होई ॥

जो यह पढ़ै हनुमान चालीसा ।
होय सिद्धि साखी गौरीसा ॥

तुलसीदास सदा हरि चेरा ।
कीजै नाथ हृदय मह डेरा ॥४०

॥ दोहा ॥
पवन तनय संकट हरन,
मंगल मूरति रूप ।
राम लखन सीता सहित,
हृदय बसहु सुर भूप ॥

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

4 মন্তব্যসমূহ