আকুপ্রেসার চিকিৎসা পদ্ধতি- রোগনিরাময়ে-এর গুরুত্ব!
আকুপ্রেসার ট্রিটমেন্ট - এর মূল ধারণা হল "প্রাণশক্তি" যা শরীরের প্রতিটি কোষে প্রতিটি শিরা-উপশিরা, স্নায়ুতে প্রবাহিত হয় সেই সব মেরিডিয়ান বা নালীগুলিতে আছে কিছু বিশেষ Acupressure Point।
![]() |
আকুপ্রেসার ট্রিটমেন্ট | আকুপ্রেসার কি |
মানব শরীরে ১০০ বেশী Acupressure Point আছে। মনে করা হয় এই মেরিডিয়ান বা নালীগুলি দিয়ে প্রবাহিত জৈবশক্তি বা প্রাণশক্তি দেহের নির্দিষ্ট কিছু অঙ্গকে সংযুক্ত করে সারা দেহে একটি অর্ন্তজাল সৃষ্টি করেছে। এই পদ্ধতিতে প্রাণশক্তি প্রবাহে কোনো প্রকার বাধাপ্রাপ্ত হলেই, শরীর অসুস্থতা বোধ করে, এই বাধাস্থল দূর করতে আকুপ্রেসার পয়েন্ট স্থানসমূহে চাপ প্রয়োগ করা হয়। ই চাপ হাত, কনুই বা বিভিন্ন সরঞ্জাম দ্বারা প্রয়োগ করা যেতে পারে। আকুপ্রেসার ('আকু' অর্থাৎ সূচ + 'প্রেসার' অর্থাৎ চাপ = আকুপাঙ্কচারের) মূলনীতিবিশিষ্ট একটি বিকল্প চিকিৎসাপদ্ধতি। রোগনিরাময়ে আকুপ্রেসার পদ্ধতির গুরুত্ব সেই সুপ্রাচীন কাল থেকেই চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা অনুসরণ করে আসছেন।
ব্যাথা-বেদনায় দীর্ঘদিন ধরে
ভুগছেন? রাতে ঘুম হয় না? অ্যালার্জির সমস্যায় জেরবার? মুহূর্তেই মুক্তি পেতে পারেন আকুপ্রেসার চিকিৎসা
পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতিতে হাতের এবং পায়ের বিশেষ কিছু ‘প্রেসার পয়েন্ট’-এ চাপ দিয়ে কিছু ক্ষণের মধ্যেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
আকুপ্রেসার পয়েন্ট
স্নায়ুর নানা সমস্যা, স্নায়ুর রোগ, পক্ষাঘাত, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েডের সমস্যাতেও এই পদ্ধতি অত্যন্ত কার্যকরী।
![]() |
আকুপ্রেসার ট্রিটমেন্ট | আকুপ্রেসার কি |
![]() |
আকুপ্রেসার ট্রিটমেন্ট | আকুপ্রেসার কি |
উপরে দর্শিত হাতের তালুর চিহ্নিত অংশগুলিতে (আকুপ্রেসার পয়েন্ট)
হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে চাপ প্রয়োগ করতে
হবে। যে স্থানে ব্যাথা অনুভূত হবে, বুঝতে হবে সেই স্থানেই সমস্যা আছে। এবার সেই
স্থানে (আকুপ্রেসার পয়েন্টে) ১ সেকেন্ডে ৫০ বার চাপ দিতে হবে। সমস্যা বেশী
হলে দিনে সর্বাধিক দু-বার আর সপ্তাহে ৬ দিন এই চিকিৎসা করা যেতে পারে।
আকুপ্রেসার পদ্ধতির গুরুত্বপূর্ণ নিয়মাবলীঃ-
১) খাওয়ার পর বা ভরা
পেটে আকুপ্রেসার করা একেবারেই উচিত নয়।
২) দিনে দু’বারের বেশি আকুপ্রেসার করা উচিত নয়।
৩) অন্তঃসত্ত্বা
মহিলাদের আকুপ্রেসার করা একেবারেই উচিত নয়।
৪) কোনও একটি নির্দিষ্ট ‘প্রেসার পয়েন্ট’-এ একটানা ২ মিনিটের বেশি আকুপ্রেসার করা উচিত
নয়।
৫) দিনে কখনওই একটানা ২০
মিনিটের বেশি আকুপ্রেসার করা একেবারেই উচিত নয়।
সঠিক পদ্ধতি মেনে
আকুপ্রেসার চিকিৎসা পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারলে ওষুধপত্র ছাড়াই শরীরের একাধিক
সমস্যা কাটিয়ে সুস্থ থাকা সম্ভব। বিশেষ করে পেশি এবং স্নায়ুর একাধিক জটিল সমস্যার
সমাধানে আকুপ্রেসার চিকিৎসা পদ্ধতি একেবারে অব্যর্থ!
আরও পড়ুনঃ দৈনন্দিন জীবনে হার্টের যত্ন
FAQ:-
প্রঃ আকুপ্রেসার কি?
উঃ মানব শরীরে ১০০ বেশী আকুপ্রেসার পয়েন্ট আছে, সেই সকল পয়েন্টে নির্দিষ্ট নিয়মানুসারে চাপ বা প্রেসার প্রয়োগের মাধ্যমে প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিকেই আকুপ্রেসার বলা হয়।
প্রঃ ঘুমের আকুপ্রেসার
উঃহাতের কব্জির পালস পয়েন্টের উপর ঘষে আপনি খুব দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। আর শুধু তাই নয়, এভাবে কয়েক মিনিট করলে চলে আসবে গভীর ঘুম। কব্জির ভিতরের দিকের পালস পয়েন্টে বৃত্তাকার গতিতে ২ থেকে ৩ মিনিট ম্যাসাজ করুণ।
প্রঃ আকুপ্রেসার উপকারিতা
উঃ আকুপ্রেসার এমন এক চিকিৎসা পদ্ধতি যা প্রতিটি মানুষ নিজেই অনুশীলনের মাধ্যমে নিজের রোগ নির্ণয়, নিরাময় এবং রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। এ পদ্ধতি অনুশীলন ও প্রয়োগের মাধ্যমে নিখুঁতভাবে নিজ বা নিজেদের রোগ নির্ণয় করে তা নিরাময় করতে পারেন খুব সহজেই। অনেক জটিল ও কঠিন রোগও শুধু আকুপ্রেসার দিয়ে নিরাময় সম্ভব যাতে ঔষধের ও অনেক সময়ের প্রয়োজন পড়ে না।
প্রঃ আকুপ্রেসার জুতো কেমন দেখতে
উঃ
উঃ
![]() |
আকুপ্রেসার ট্রিটমেন্ট | আকুপ্রেসার কি |
![]() |
আকুপ্রেসার ট্রিটমেন্ট | আকুপ্রেসার কি |
0 মন্তব্যসমূহ