মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তির উপায়, সাম্ভব্য প্রতিকার
মানসিক অবসাদ কি? - বর্তমান সমাজে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেকেই অসম্ভব শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত দিনে দিনে তাকে গ্রাস করে চলেছে একাকিত্বতা আর তা থেকেই তিনি হয়ে উঠতে থাকেন মানসিক অবসাদ-এর শিকার। এই প্যানডেমিক বা ওয়ার্ক ফ্রম হোম কালচারে মানসিক অবসাদে ভোগার প্রবণতা যেন আরও বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন জীবনশৈলীর কিছু অভ্যাসই আপনার মানসিক অবসাদের বিষয়টিকে দখলে রাখে। অর্থাৎ আপনি চাইলেই বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করে, মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কিছু সাম্ভব্য প্রতিকার রইল মানসিক অবদসাদ-এর।
![]() |
মানসিক অবসাদ কি? | Mind Depression কি ভাবে দূর করা যায় |
আমরা সকলেই জীবনে কখনও না
কখনও অবসাদে ভুগেছি। কখনও কাজের চাপে অবসাদ, কখনও চাকরি না পাওয়ার অবসাদ, কখনও বৈবাহিক জীবনে অশান্তির কারণ আসা অবসাদ, কখনও বা জীবনে উপযুক্ত সঙ্গী না পাওয়ার অবসাদ, কখনও অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ার ভয়, হতাশা থেকে আসা অবসাদ। জীবনে যে কোনও স্তরে যে কোনও
কারণে আমাদের ঘিরে ধরতে পারে অবসাদ।
আরো জানুনঃ- মানসিক ক্ষমতায়ন ! মনোবল বৃদ্ধির উপায়
অবসাদের কারণ কী?
![]() |
মানসিক অবসাদ কি? | Mind Depression কি ভাবে দূর করা যায় |
অনেকগুলো উপসর্গের যুগ্ম প্রয়াসই হল অবসাদের
কারণ; যার মধ্যে আছে জিনগত সমস্যা, জীবনের কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বা দুশ্চিন্তা।
·
মানসিক বিকার: অনেক
ক্ষেত্রে, নির্ণয় না হওয়া মানসিক ভারসাম্যহীনতা, যেমন অবসেসিভ কমপালসিভ ডিস্অর্ডার, সোশ্যাল ফোবিয়া ও স্কিৎজোফ্রেনিয়া-র রোগের পাশাপাশি অবসাদ
বা ডিপ্রেশন প্রকাশ রূপে দেখা দেয়। এই সব ক্ষেত্রে মানসিক চিকিৎসকের পুঙ্খানুপুঙ্খ
পর্যবেক্ষণ খুবই জরুরি।
·
জীবনের চাপ বা দুশ্চিন্তা: একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সাধারণ
দুশ্চিন্তাগুলি কাজ সম্পর্কিত বা পরিবার অথবা বিবাহিত জীবন সম্বন্ধে বা অন্যান্য
বিষয়েও হতে পারে।
·
শারীরিক স্বাস্থ্যের সমস্যা: অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও থাইরয়েডের সমস্যা
থেকেও অনেক সময় অবসাদ হয়ে থাকে। সেই কারণে মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসকের সাথে
আলোচনার সাথে সাথে অনিয়ন্ত্রিত রোগগুলির কারণ অনুসন্ধান করাও দরকার। হার্টের রোগ, এইচ আই ভি বা ক্যান্সার-এর মত দুরারোগ্য রোগের সাথে লড়াই
করতে করতে মানুষ অবসাদের শিকার হন।
·
পার্সোনালিটি বা ব্যক্তিত্ব: ব্যক্তিত্বের সমস্যা অথবা বডি ইমেজ, অর্থাৎ অতিরিক্ত মোটা বা রোগা হওয়া, খুব বেঁটে বা লম্বা হওয়া নিয়ে সমস্যা, কম আত্মবিশ্বাস, সব কাজেই অসন্তোষ, স্কুল-কলেজ বা কর্মক্ষেত্রে চাপের সমস্যা – এই সবের মিলিত কারণেও অবসাদ হতে পারে বলে গবেষণায় জানা
গেছে।
·
মদ বা মাদকে আসক্তি: বেশীমাত্রায়
অ্যালকোহল গ্রহণ অবসাদের কারণ। ড্রাগস বা অন্যান্য ক্ষতিকারক জিনিসের প্রতি আসক্তি
মানুষকে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধব থেকে আলাদা করে দেয়। অনেকদিন ধরে এই সবের সেবন
মানুষকে অবসাদের দিকে ঠেলে দেয়।
আরও পড়ুনঃ শিশুর অবসাদ কি
নানা মানসিক কারণে বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে
এই অবসাদ দেখা যায়। নিচের অংশে বর্ণিত আছে কি ভাবে অবসাদ বাচ্চা, মহিলা বা বয়স্কদের প্রভাবিত করে –
·
বাচ্চাদের অবসাদ
·
মহিলাদের অবসাদ
·
বয়স্কদের অবসাদ
![]() |
মানসিক অবসাদ কি? | Mind Depression কি ভাবে দূর করা যায় |
নেগেটিভ কথা বলা বন্ধ করুন-অবসাদে ডুবে থাকা মানুষ নিজের চারপাশে সবসময়ই হতাশা
দেখে। কথাবার্তার মধ্যেও ফুটে ওঠে নেগেটিভ চিন্তাভাবনা। নিজের সম্পর্কে সংশয়, নিজেকে
মূল্যহীন ভাবেন অবসাদে ভোগা মানুষ। এইসময় মানুষ খারাপ কিছু ঘটলে নিজেকে দোষ দেয়, ভাল
কিছু ঘটলে ভাগ্যকে ধন্যবাদ জানায়। নেগেটিভ চিন্তা, নেগেটিভ কথাবার্তা
থেকে দূরে থাকা উচিত্ অবসাদে ভোগা মানুষের।
ক্ষোভ-অপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে ভাবা ও প্রয়োজনের
থেকে বেশি চিন্তা করা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। এইসব ক্ষোভ, ভাবনা
চিন্তাই আপনার সবথেকে বড় শত্রু। এরাই আপনাকে অবসাদের গভীরে নিয়ে যায়। বই পড়ে বা
পাজল সলভ করে সময় কাটালে অবসাদ থেকে দূরে থাকা যাবে।
ভাল করে ঘুমোন-অবসাদে ভুগলে মানুষের ঘুম করে
যায়। সবসময় অস্বস্তি ও মানসিক চাপের কারণে টানা ঘুম হয় না ভাল। কিন্তু শারীরিক বা
মানসিক সুস্থতার জন্য ভাল ঘুম খুব জরুরী।
পরিসংখ্যান বলছে, এখন সারা দুনিয়ায় ২৬ কোটি ৪০ লাখ মানুষ
অবসাদে ভুগছেন। করোনার জেরে অবসাদ আরও বেশি করে গ্রাস করেছে মানুষকে। পাঁচ বছরেরও
শিশুরও হতে পারে অবসাদ। চিকিৎসকরা তাই মনে করেন।
কী করলে এই অবসাদ দূরে রাখা সম্ভব? আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনে রইল সেই বিষয়ে অল্পবিস্তর কিছু তথ্য। জেনে নিন-
মনোযোগী হতে চেষ্টা করুন-
অবসাদে ভুগলে বিভিন্ন
চিন্তা মাথায় আসে। এগুলোকে সরিয়ে রাখুন। নিজের কাজে মন দিন। যেটা ভালো লাগে, সেটা মন দিয়ে করুন।
গান শুনুন-
এক মুহূর্তে পরিবেশ বদলে দিতে পারে গান। তাই গান শুনুন। ইতিবাচক, আনন্দের গান। মানসিক অবস্থা বদলে যেতে বাধ্য।
নেতিবাচক হবেন না-
অবসাদে ভুগলে বারবার নেতিবাচক চিন্তা মাথায় আসে। সব সময় মানুষ নিজেকে দোষী মনে
করেন। নিজেকে মূল্যহীন মনে করেন। এসব ভাবনাচিন্তা সরিয়ে ফেলুন।
ঘুম-
অবসাদে ভুগলে ঘুম কমে যায়। অথচ অবসাদের সবথেকে ভালো ওষুধ হল ঘুম। তাই রোজ
অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমনো জরুরি।
শরীরচর্চা-
প্রতিদিন যোগ, শরীরচর্চা খুব জরুরি। এর ফলে শরীর থেকে
এনডোরফিন বেরিয়ে যায়। ফলে আমাদের মন ভালো থাকে। মন ভালো রাখার পাশাপাশি শরীর সুস্থ
থাকলে রোগভোগও অনেক কম হয়।
যোগাযোগ-
অবসাদ হলে মানুষ একা থাকতে চান। শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় ডুবে থাকবেন না। একা
থাকবেন না। বরং পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করুন। মন ভালো হবে।
আপনি জানেন কি? ওয়ার্ল্ড হেলথ্ অর্গানাইজেশন জানিয়েছে যে:
·
অবসাদ জনিত ভারসাম্যহীনতা প্রায় ৫% প্রাপ্ত-বয়স্ক
জনসাধারণের মধ্যে তাদের জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে দেখা যায়।
·
অবসাদ, ২০২০
সালের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম মানসিক রোগের আকার ধারণ করবে।
·
ভারতে পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে বেশী মাত্রাতে অবসাদের ঘটনা
লক্ষ্য করা যায়।
অবসাদের চিকিৎসার প্রকারভেদ
অনেক ধরণের সাইকোথেরাপি অবসাদে খুব ভালো
কাজ করে যেমন কগ্নিটিভ বিহেভিওরাল থেরাপি (CBT) এবং ইন্টার-পারসোনাল থেরাপি (IPT)। আসলে এই থেরাপিগুলি হল স্বল্প
সময়ের - এই পদ্ধতির চিকিৎসাতে ১০ থেকে ২০ সপ্তাহ সময় লাগে।
ইন্টার-পার্সোনাল থেরাপি (IPT) ব্যক্তিগত সম্পর্কের উন্নতির দিকে বেশী গুরুত্ব দেয়।
ECT বা ইলেক্ট্রো কনভালসিভ থেরাপিঃ এটা খুবই সাফল্য লাভ করে জটিল তম অবসাদের ক্ষেত্রে।নার্ভাস বোধ করলে বুক ভরে গভীর ভাবে শ্বাস নিতে হবে। বড় বড় শ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে ছাড়তে হবে। যতটা সময় নিয়ে শ্বাস নিচ্ছেন, তার দ্বিগুণ সময় ধরে শ্বাস ছাড়তে হবে।
মানসিক অবসাদ দূর করার জন্য ৩টি যোগব্যায়াম
১. উত্তনাসন (Uttanasana)
যোগব্যায়ামে উত্তনাসন হলো এমন একটি তীব্র অগ্রবর্তী প্রসারণ
প্রক্রিয়া যা পুরো শরীরের পেছনের পেশী প্রসারণ ও নমনীয় করে গভীরভাবে। উত্তনাসন শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ায়, রক্ত সঞ্চালন সক্রিয় করে দ্রুত মস্তিস্কে পৌঁছায়, যে স্থান থেকে রক্ত সরাসরি হৃদপিন্ডে গমন করে। নিয়মিত উত্তনাসন উদ্ব্যেগ ও
দুশ্চিন্তা দূর করে মনকে শান্ত করে।
![]() |
মানসিক অবসাদ কি? | Mind Depression কি ভাবে দূর করা যায় |
১) শুরুতে সোজা হয়ে দাঁড়াতে
হবে। তারপর হাঁটু সোজা রেখেই উপুড় হয়ে পা পর্যন্ত ঝুঁকে হাতের আঙ্গুল পায়ের আঙ্গুল বরাবর ছুঁতে হবে।
২) এবার এ অবস্থায় হাঁটু
মোটেও ভাঁজ করা যাবে না, একবারে সোজা রাখতে হবে এবং মাথাও হাঁটু বরাবর
ঝুঁকে রাখতে হবে।
৩) ধীরে ধীরে হাত দু’দিকে যতটুকু পারা যায় মাটিতে অথবা পায়ের গোড়ালি ছুঁয়ে রাখতে হবে। এভাবে ২০ সেকেন্ড থাকতে হবে এবং স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস
নিতে হবে।
৫) তারপর ধীরে ধীরে হাত দু’টিকে তুলে কোমরে ছুঁইয়ে আস্তে আস্তে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। শুরুতে কম সময় করলেও আস্তে আস্তে
সময় বাড়িয়ে ১ মিনিট পর্যন্ত করতে হবে।
২. ভিপারিতা করনি (Viparita Karani)
এটা খুবই সহজ একটা আসন কিন্তু এই আসন উদ্ব্যেগ
কমাতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। শরীর মনকে শিথিল এবং শান্ত করে আর
স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে। ভিপারিতা করনি রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে বিষণ্ণতা ও অনিদ্রা দূর করে।
নিয়ম
১) কোন একটা দেয়ালের পাশে
সোজা হয়ে শুয়ে পা দু’টোকে দেয়াল ঘেষে উপরের দিকে সোজা করে তুলতে
হবে। পিঠ,
কোমর ও মাথা থাকবে ফ্লোরে আর পা দু’টো দেয়াল বরাবর সোজা উপরে থাকবে।
২) এ অবস্থায় কোমর আর মাথার
নিচে একটা কম্বল অথবা কুশন রাখলে আরাম পাওয়া যাবে।
৩) হাত দু’টোকে শরীরের দুই পাশে সোজা করে ছেড়ে রেখে পা এর আঙ্গুলগুলো টানটান করে রাখতে
হবে। এ অবস্থায় ৫ থেকে ১০ মিনিট থাকতে হবে।
৪) লক্ষ্য রাখবেন পা দু’টো কোনোভাবেই ভাঁজ করা যাবে না, দুই পায়ের গোড়ালি একসাথে লাগিয়ে রাখতে হবে এবং
মুখমন্ডল সোজা উপরের দিক করে রেখে স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাস নিতে হবে।
৩) সবাসন (Sabasan)
এই আসন হলো
যোগব্যায়ামের শেষ আসন। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং শরীরকে শিথিল রাখতে এ আসন
চমৎকার কাজ করে।
![]() |
মানসিক অবসাদ কি? | Mind Depression কি ভাবে দূর করা যায় |
১) একটা সমতল জায়গায় সোজা
হয়ে শুয়ে পড়তে হবে এবং হাত দু’টোকে শরীরের দুই পাশে
শিথিল করে ছেড়ে রাখতে হবে।
২) চোখ দু’টো বন্ধ রাখতে হবে এবং মুখমন্ডল একবারে সোজা রেখে স্বাভাবিকভাবে নিশ্বাস নিতে
হবে। এভাবে আরাম করে ১০ মিনিট শুয়ে থাকতে হবে। এই হলো সবাসন।
সতর্কতা
যোগব্যায়াম শুরুর আগে কিছু বিষয় সম্পর্কে অবগত হওয়া দরকার।
১) যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, শ্বাস কষ্টের সমস্যা আছে অথবা আর্থ্রাইটিস আছে তাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম শুরু করতে হবে।
২) এছাড়া যোগব্যায়াম যেহেতু
একটু কষ্টসাধ্য ব্যায়াম, কাজেই এ আসন শুরুর আগে ভালোভাবে আসন সম্পর্কে
জেনে বুঝে তারপর শুরু করতে হবে।
৩) কোন ভালো প্রশিক্ষকের
মাধ্যমে এ বিষয়ে শিক্ষা নিয়ে শুরু করাটাই ভালো হবে। নয়তো না বুঝে করলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪) কয়েকদিন ব্যায়াম করে
ছেড়ে দিলেও কোন ফলাফল পাওয়া যাবেনা। ধৈর্য নিয়ে নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে খুব ভাল ফল
পাওয়া যাবে। মানসিক অবসাদ দূর করার জন্য দিনে অন্তত একবার যোগব্যায়াম করা প্রয়োজন।
দেখলেন তো, কিভাবে খুব সহজে কিছু
যোগাসনের সাহায্যে দূর করতে পারেন মানসিক অবসাদ। নিয়মিত এই আসনগুলো করুন নিজের যত্ন নিন সুস্থ ও সুন্দর থাকুন।
প্রঃ- মানসিক অবসাদ কাকে বলে?
উঃ হটাৎ করে কোন মানুষ যদি তার কাজ-কর্মে নিরুৎসাহ বোধ করে, অকারণে মনে ক্ষোভ-দুঃখ প্রভৃতি বাড়তে থাকে, মেজাজ হারিয়ে ফেলে বারংবার, এবং তার দৈনন্দিন কাজেও অক্ষমতা অনুভব করতে থাকে - এরূপ পরিস্থিতি যদি দু-সপ্তাহ বা তার বেশী দিন স্থায়ী হয় তাহলে সেই মানুষটি অবসাদ গ্রস্ত ধরে নেওয়া যায়।
প্রঃ- মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তির উপায়পিথাগোরাস তার উক্তিতে বলে-
’’উদ্বেগকে আমাদের কর্মে চালিত করা উচিত এবং বিষন্নতার দিকে নয়। সে কখনোই মুক্ত নয় যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না’’
মাইকেল গ্রেগার তার উক্তিতে বলেন –
’’মানসিক স্বাস্থ্য শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে ,এবং প্রধানত বিষন্নতা হল সবচেয়ে সাধারণভাবে নির্ণয় করা মানসিক রোগগুলির মধ্যে একটি’’
ম্যাট লুকাস তার উক্তিতে বলেন –
’’বিষন্নতা এড়াতে চাইলে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। আর আমার জন্য অলসতা সবচেয়ে বড় শত্রু’’
স্বামী শিবানন্দ তার উক্তিতে বলেন-
’’আপনার অতীতের ভুল এবং ব্যর্থতাগুলি নিয়ে চিন্তা করবেন না। কারণ এটি কেবল আপনার মনকে দুঃখ, অনুশোচনা এবং বিষন্নতায় পূর্ণ করবে। তবে ভবিষ্যতে তাদের পুনরাবৃত্তি করবেন না’’
জ্যানেট তার উক্তিতে বলেন-
’’মানুষের জীবনে বিষন্নতা থাকবে, কষ্ট থাকবে এবং রাগও থাকবে আর এই সবগুলোই মানুষের অংশ’’
3 মন্তব্যসমূহ
Thank u for this information
উত্তরমুছুনNice niche
উত্তরমুছুনNICE POST
উত্তরমুছুন