পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম - এর সমস্যা ওষুধ ছাড়াই কী ভাবে কমবে
পলিসিস্টিক ওভারি কি (PCOS): পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম হচ্ছে, - মহিলাদের শরীরে অ্যান্ড্রোজেন (পুরুষ হরমোন) ক্রমে বেড়ে যাওয়ার ফলে হরমোন ভারসাম্যহীনতার দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। এই রোগের ফলে মহিলাদের ওভারিতে (ডিম্বাশয়ে) মালার ন্যায় ছোটো ছোটো সিস্ট তৈরী হয়।ওভারিতে একাধিক সিষ্টের সমাহারের কারণে এই রোগটিকে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বলা হয়ে থাকে।
![]() |
পলিসিস্টিক ওভারি কি।পলিসিস্টিক ওভারি ঘরোয়া চিকিৎসা | PCOS |
এটি মহিলাদের গর্ভধারণের চেষ্টাকে কঠিন করতে পারে এবং এটি বন্ধ্যাত্বের সাধারণ কারণগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত হয়।
পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম (পিসিওএস) শিশুর জন্ম দিতে পারে এমন বয়সী প্রায় 5 থেকে 10 শতাংশ নারীকে প্রভাবিত করে, তবে কিছু জাতিগত গোষ্ঠীতে এই অবস্থা বেশি ঘটতে পারে। এটি একটি মহিলার শরীরে পুরুষ হরমোন উদ্বৃত্ত হওয়ার ফলে ঘটে। এটি পিসিওএস আছে এমন কিছু মহিলার ডিম্বাশয়ের উপর সিস্টের উপস্থিতিকে বোঝায়। এই অবস্থা পিরিয়ডকে বিলম্বিত করতে পারে এবং কিছু শারীরিক পরিবর্তন ঘটাতে পারে। পিসিওসএ, যৌন হরমোনগুলি ভয়াবহ হয়ে যেতে পারে, মুখে এবং শরীরে বাড়তি চুল বা শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধের দিকে পরিচালিত করে। যদিও এই নামটি বোঝায় যে এই অবস্থা যুক্ত মহিলাদের একাধিক সিস্ট থাকবে, তবে পিসিওএস ধরা পড়েছে এমন সবারই সিস্ট থাকবে এমন কোনো মানে নেই। একইভাবে, সিস্ট থাকা সব মহিলাদেরই পিসিওএস থাকে না। আসলে এই ‘সিস্টগুলি‘ আংশিকভাবে তৈরি ফলিকল যাতে একটি ডিম থাকে। পিসিওএস
যাঁদের হয়, তাঁদের দুটো ওভারিই সিস্টে ভরে যায়। আর
ওভারিও বড় হয়ে যায়।
·
পিসিওডি বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ। এই সময়কার সবচেয়ে
কমন গাইনোকোলজিক্যাল সমস্যাগুলোর মধ্যে যা উপরের সারিতে।
· ই মুহূর্তে ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে ১০ থেকে ১২ শতাংশ এই সমস্যায় আক্রান্ত। তবে সচেতনতা এবং চিকিৎসা এই অসুখকে সারিয়ে তুলতেও পারে, এর পাশাপাশিই জেনে নেওয়া দরকার পিসিওএস (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম)এর খুঁটিনাটি নিয়েও।
আরও পড়ুনঃ অ্যাকুপ্রেসার চিকিৎসাপলিসিস্টিক ওভারির লক্ষণগুলো কী কী?
· অনিয়মিত পিরিয়ড: পিসিওএস-এর ফলে জরায়ুতে ডিম্বথলি জমতে থাকে। যা ধীরে ধীরে বড় হয়ে সিস্ট তৈরি করে। ফলে স্বাভাবিক নিয়ম মেনে ডিম্বাণু নিঃসরণ (Irregular Menses) বা পিরিয়ড/মাসিক হয় না।
· লোমের আধিক্য: পিসিওএস-এ নারীর শরীরে পুরুষ হরমোনের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রার থেকে অনেকটাই বেড়ে যায়। এই হরমোনের জন্যই মুখ (Facial Hair Growth), পেট ও বুকের বিভিন্ন অংশে লোমের বৃদ্ধি হতে থাকে।
·
ব্রণ: পুরুষ
হরমোনের আধিক্যের ফলে মুখ ও দেহের অন্যান্য অংশের ত্বক আগের তুলনায় বেশি তৈলাক্ত
হয়ে পড়ে। মুখে আগের তুলনায় বেশি ব্রণ (Acne) দেখা দেয়।
· অত্যাধিক রক্তপাত: পিসিওএস-এ আক্রান্ত অনেকেরই পরপর একাধিকবার পিরিয়ড মিস হয়। ফলে তাদের পিরিয়ড যখন হয়, তখন রক্তপাত (Heavy Bleeding) স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি হয়।
·
ওজন বৃদ্ধি: বিভিন্ন
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পিসিওএস-এর
সমস্যায় আক্রান্ত মহিলাদের অনেকেরই ওজনই স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। ওবেসিটি (Weight
Gain) এই সমস্যার অন্যতম লক্ষণ।
চুল পড়ে যাওয়া: মাথা থেকে চুল উঠে যাওয়ার সমস্যাও এই রোগের অন্যতম একটি লক্ষণ।
ত্বক কালো হয়ে যাওয়া: এই সমস্যা দেখা দিলে দেহের বিভিন্ন অংশ যেমন ঘাড়ের পিছনের অংশ, স্তনের নীচের ত্বক, পা ও যৌনাঙ্গের সন্ধিস্থলের ত্বকের রং কালো হয়ে যেতে থাকে (Dark Patches on Skin)। প্রথম প্রথম এটা ময়লা বা ট্যান মনে হতে পারে। পরে দেখা যায় এটি আসলে ত্বকেরই রং, যা পিসিওএস-এর লক্ষণ।
· সন্তান উৎপাদনে অক্ষমতা: পিসিওএস-এর সমস্যায় ডিম্বথলি থেকে ডিম্বাণুর নিঃসরণ অনিয়মিত হয়ে পড়ে। ডিম্বাণুর অনুপস্থিতিতে জরায়ুতে শুক্রাণুর সঙ্গে ডিম্বাণুর নিষেক সম্ভব হয় না। তাতে সন্তান আসার সম্ভাবনাও কমে যায় (Infertility)।
·
অবসাদ ও উচাটন: হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। এর প্রভাব মনের উপরেও। কোনও ঘটনায় সহজে ভেঙে পড়া, মন খারাপ হয়ে যাওয়ার (Depression and Anxiety) প্রবণতাও দেখা যায়। পাশাপাশি কোনও কাজ করার সময় আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা দিতে থাকে।
· ডায়বেটিস: বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পিসিওএস-এ আক্রান্ত অধিকাংশ মহিলাদেরই টাইপ ২ ডায়বেটিসও রয়েছে। ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স এর কারণে শরীরে পুরুষ হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। রক্তে সুগার লেভেলের তারতম্যের কারণেই টাইপ ২ ডায়বেটিস (Diabetes) হয় যা এই রোগের অন্যতম লক্ষণ।
·
স্লিপ অ্যাপনিয়া:পিসিওএস-এর
আরেকটি মারাত্মক লক্ষণ ফুটে ওঠে ঘুমের মধ্যে। স্লিপ অ্যাপনিয়া (Sleep Apnea) হল
তেমন লক্ষণ। এতে ঘুমের মধ্যে শ্বাস মাঝে মাঝেই থেমে যায়। তবে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে
না।
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম এর চিকিৎসা
ওষুধ ছাড়াই কী ভাবে কমবে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের সমস্যা?
আজকাল পিসিওএস এর প্রথম ধাপ ধরা পড়লে চিকিৎসকেরা অনেক সময়ই ওষুধ না দিয়ে
শুধু লাইফ স্টাইল বদলে ফেলার পরামর্শ দেন।
পিসিওএসের জন্য কোন প্রতিকার নেই, তবে এটি ওজন হ্রাস, স্বাস্থ্যকর খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম এবং ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। লক্ষণগুলির পাশাপাশি গর্ভাবস্থার জন্য কোনো মহিলার পরিকল্পনাগুলির উপর ভিত্তি করে চিকিত্সার প্রস্তাব ঠিক করা হয়।
![]() |
পলিসিস্টিক ওভারি কি।পলিসিস্টিক ওভারি ঘরোয়া চিকিৎসা | PCOS |
1. ওজন কমানো
বেশী ওজনের মহিলাদের জন্য, অতিরিক্ত ওজন হ্রাসই সবচেয়ে ভাল চিকিত্সা বলে প্রমাণিত হয়। ৫ শতাংশ ওজন হ্রাস মাসিক চক্রের স্বাভাবিকীকরণ এবং এইভাবে, ডিম্বস্ফোটন ঘটাতে পারে।
2.
ব্যায়াম এবং একটি সুষম খাদ্য
নিম্নচর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত পণ্য, গোটা শস্যের সবজি এবং ফল একটি সুষম খাদ্য গঠন করে। ব্যায়ামের সাথে, একটি সুষম খাদ্য আপনার হরমোনগুলিকে সামঞ্জস্য করতে সহায়তা করে।
3. স্বাস্থ্যকর খাওয়া
যেহেতু পিসিওএস ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য শরীরের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে, তাই পিসিওএস চিকিত্সার জন্য প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত যা অবস্থাটিকে প্রতিহত করতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং শর্করা থেকে দূরে থাকা এটি নিশ্চিত করার এবং হরমোন ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের একটি উপায়। এটি স্বাভাবিক ডিম্বস্ফোটন ঘটাতে পারে এবং এইভাবে গর্ভাবস্থা আনতে পারে।
4. ধূমপান ত্যাগ
এন্ড্রোজেন, বা পুরুষ যৌন হরমোন ধূমপান করা মহিলাদের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে উপস্থিত থাকে। এই হরমোনগুলি পিসিওএসএর জন্য দায়ী। ধূমপান বন্ধ করা পিসিওএস চিকিত্সার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।
চিনি - চিনি এবং মিষ্টান্ন প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন
চিপস্, ব্রেড, কেক-পেসট্রী ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলির সবগুলিতেই উচ্চমাত্রায় চিনির
পরিমাণ আছে যা বেশী পরিমাণে গ্রহন করলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকে যা ওজন
বৃদ্ধির প্রধান কারণ হয়ে উঠতে পারে।
কার্বোহাইড্রেট – যে কার্বোহাইড্রেটে ফাইবার থাকে
না, তা রক্তে ইনুসুলিনের মাত্রা বাড়ায় ও অতিরিক্ত গ্রহণে স্থুলতা ও ওজন বৃদ্ধি
ঘটায়।
ভাজা-ভূজি- ভাজা খাবারে ফ্যাট ও ক্যালোরি বেশী থাকে যার
ফলে অনিয়ন্ত্রিত হারে ওজন বৃদ্ধি ঘটতে পারে। বেশী গ্রহণের ফলে পি.সি.ও.এস. এর
লক্ষণ গুলি আরো খারাপ হতে পারে সেইমত অবস্থায় চিকিৎসা করাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন ত্বকের যত্ন
পি.সি.ও.এস. ডায়েট কি
মূলত লো ক্যালোরি ডায়েট প্ল্যান এই সিনড্রোমের উপযুক্ত। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ১২০০ ক্যালোরি থাকা প্রয়োজন। যা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখবে। ওজন বাড়তে দেবে না।তালিকায় যা যা থাকবে
![]() |
পলিসিস্টিক ওভারি কি।পলিসিস্টিক ওভারি ঘরোয়া চিকিৎসা | PCOS |
সবুজ শাকসব্জি
প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসব্জি খান। যার মধ্যে
ভিটামিন সি, কে,
বি, পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন রয়েছে। আসলে এই সিনড্রোমে যাঁরা ভুগছেন তাঁদের
খাদ্যতালিকায় আয়রন থাকা জরুরি। এছাড়াও পটাসিয়াম ফলিকল স্টিমুলেটিং হরমোনের ভালো
উৎস। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার খান
রাঙা আলু, টম্যাটো, গাজর, পটল খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন। লেটুস,
পালং, কলমি তালিকায় থাকুক। বারে বারে চিনি ছাড়া গ্রিন টি খান।
চলতে পারে ডার্ক চকোলেট।
মরসুমি ফল
ফলে প্রচুর পরিমণে ভিটামিন,
মিনারেল, ফাইবার থাকে। তাই যাদের PCOS
রয়েছে তারা প্রতিদিন আম,
আপেল, লেবু, পেয়ারা, তরমুজ, পেঁপে এবং শুকনো খেজুর খাদ্য তালিকায় রাখুন। জুস না করে
গোটা খাওয়ার চেষ্টা করুন। ফ্রুট স্যালাড বানিয়েও খেতে পারেন।
ফ্যাট খান
চর্বিযুক্ত বড় মাছ নয়,
ভিটামিন বি ও ডি যুক্ত মাছ খান। ছোট মাছ
খান। এছাড়াও আমন্ড, আখরোট
ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখুন। অলিভ অয়েল খাওয়ার চেষ্টা করুন। স্যামন,
টুনা খেতে পারলে খুব ভালো।
ভালো খান, সময় মত বিশ্রাম নিন, বই পড়ুন, গান শুনুন, দিনের শেষে ভালো
ঘুমোন। খুব রাত জাগবেন না। রাতের খাওয়ার আগে খান, খাবার খাওয়ার অন্তত দুঘণ্টা পর ঘুমোবেন। শরীর এবং মন চনমনে রাখুন। মনে রাখবেন পিসিওএস
এর সমস্যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় হয়। আপনি, ভালো থাকলে, সুস্থ থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই হরমোন নিঃসরণ ঠিকঠাক হবে। আপনার হাতেই এই রোগের
চিকিৎসার চাবিকাঠি, দীর্ঘদিনের সুসম্পন্ন জীবনযাপন আপনাকে এই রোগের প্রকোপ থেকে
অনেকটাই স্বস্তি দিতে পারে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিয়মিত শরীর চর্চা করুণ।
FAQ:-
প্রঃ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম কি?
উঃ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম হচ্ছে, - মহিলাদের শরীরে অ্যান্ড্রোজেন (পুরুষ হরমোন) ক্রমে বেড়ে যাওয়ার ফলে হরমোন ভারসাম্যহীনতার দ্বারা সৃষ্ট একটি রোগ। এই রোগের ফলে মহিলাদের ওভারিতে (ডিম্বাশয়ে) মালার ন্যায় ছোটো ছোটো সিস্ট তৈরী হয়।ওভারিতে একাধিক সিষ্টের সমাহারের কারণে এই রোগটিকে পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম বলা হয়।
প্রঃ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের লক্ষণ
উঃ অনিয়মিত পিরিয়ড।
মহিলাদের দেহে পুরুষের ন্যায় লোমের আধিক্য।
পিরিয়ড চলাকালীন অত্যাধিক রক্তপাত।
হটাৎ দ্রুত ওজন বৃদ্ধি।
হটাৎ ত্বক কালো হয়ে যাওয়া।
সন্তান ধারণে অক্ষমতা।
প্রঃ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের ঘরোয়া চিকিৎসা
উঃ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের সমস্যায় পড়লে প্রথমেই যেটা আপনাকে করতে হবে সেটি হল আপনার দৈনন্দিন জীবন যাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে -
নিয়মিত শরীর চর্চার মাধ্যমে ওজন কমানো।
ব্যায়াম এবং একটি সুষম খাদ্য আহার করা, শাক-সব্জী ফল-মূল প্রভৃতি।
প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া। চিনি ও অধিক মাত্রায় কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকা।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার খান।
ধূমপান থেকে বিরত থাকা।
মনে রাখবেন পিসিওএস এর সমস্যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতায় হয়। আপনি, ভালো থাকলে, সুস্থ থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই হরমোন নিঃসরণ ঠিকঠাক হবে। আপনার হাতেই এই রোগের চিকিৎসার চাবিকাঠি, দীর্ঘদিনের সুসম্পন্ন জীবনযাপন আপনাকে এই রোগের প্রকোপ থেকে অনেকটাই স্বস্তি দিতে পারে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন নিয়মিত শরীর চর্চা করুণ।
প্রঃ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম এবং প্রেগনেন্সি
উঃ পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের কারণে প্রেগনেন্সিতে সমস্যা আসে এই ধারণা অনেকাংশে ঠিক কিন্তু এর থেকে বাঁচারও উপায় রয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপ ইত্যাদি কারণে মহিলারা এই রোগের শিকার হচ্ছেন।
আপনি যদি পিসিওএস-এর সমস্যা থাকে তাহলে দৈনন্দিন জীবনধারার ওপর বিশেষ নজর দিন। সুষম আহার গ্রহণ করুন। ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। যদি উচ্চতা অনুযায়ী বেশি ওজন থাকে তাহলে সেটা কমান। আর নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। এর মাধ্যমে পিসিওএস-এর সমস্যা থাকলেও আপনি সুস্থ থাকবেন এবং সন্তান ধারণ করতে সুবিধা হবে।
পিসিওএস-এর সমস্যাকে গোড়া নির্মূল করা সম্ভব নয়। এর জন্য আপনাকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে। খাওয়া-দাওয়ার প্রতি যেমন বিশেষ নজর দিতে হবে, নিয়মিত শরীরচর্চাও জরুরি। এর পাশাপাশি মানসিক চাপকে কমিয়ে ফেলা একান্ত জরুরী। এতে গর্ভধারণেও সমস্যা হবে না এবং গর্ভাবস্থাতেও আপনি সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন।
6 মন্তব্যসমূহ
Very helpful post
উত্তরমুছুনInformative post
উত্তরমুছুনNice niche
উত্তরমুছুনGood
উত্তরমুছুনUseful information for all Women
উত্তরমুছুনGood Info
উত্তরমুছুন